জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন যে, গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন করে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে। তিনি জানান, কক্সবাজারের চকরিয়ায় তাদের ওপর হামলা এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। শনিবার রাতে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এনসিপির পথসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা একটি সম্প্রীতি এবং সংহতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি, যেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে। কোনও বক্তব্য কারও বিরুদ্ধে গেলে শালীনভাবে তার বিরোধিতা করা হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, অগণতান্ত্রিকভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যদি কেউ সামনে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চায়, জনগণ আবারও রাজপথে নামবে।"
তিনি আরও বলেন, "যারা গণহত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, অধিকারহীন করে রেখেছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন।"
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, "আমরা দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এই বার্তা আমরা বান্দরবানের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে চাই। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান শুধু একটা সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না, এটি ছিল নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার কায়েমের জন্য মানুষের গণ-বিস্ফোরণ। এটি মানুষের গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি।"
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীসহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে নাহিদ ইসলাম দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। তার এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতন্ত্রের সুরক্ষা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।