close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে সাতক্ষীরার সাবেক সাঁটলিপিকার শহীদুজ্জামানের ৭ বছরের কারাদণ্ড..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সাবেক সাঁটলিপিকার এ কে এম শহীদুজ্জামানকে ঘুষ গ্রহণের অপরাধে খুলনায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সাবেক সাঁটলিপিকার এ কে এম শহীদুজ্জামানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই '২৫) বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, শহীদুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা উপজেলার পারকুমিরা গ্রামের বাসিন্দা মো: সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। তাকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের দুটি পৃথক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: ইয়াছিন আলী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দেবনগর বেগম রোকেয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা অনুদান পেতে প্রধান শিক্ষক মো: মেহেদী হাসান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন। 

এই আবেদন নিয়ে তিনি সাঁটলিপিকার এ কে এম শহীদুজ্জামানের অফিস রুমে গেলে শহীদুজ্জামান অনুদান পাইয়ে দেওয়ার শর্তে শতকরা ৩০ শতাংশ ঘুষ দাবি করেন। প্রধান শিক্ষক ১০ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করেন। পরবর্তীতে শহীদুজ্জামান আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং উক্ত টাকা প্রদান না করলে অনুদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না বলে জানান। 

এতে প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের সহায়তায় শহীদুজ্জামানকে হাতে নাতে ধরার পরিকল্পনা করেন। ২০১৮ সালের ৩ জুন তিনি খুলনার দুদক পরিচালকের নিকট আবেদন করেন এবং ১২ জুন দুদক কর্মকর্তারা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ফাঁদ পাতে। 

ওই দিন প্রধান শিক্ষক আরও ৫০ হাজার টাকা যোগাড় করে আনেন এবং শহীদুজ্জামানের প্যান্টের পকেটে রাখার সময় দুদক কর্মকর্তারা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ঘুষের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

এই ঘটনার পর দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক মো: মহতাব উদ্দিন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশন সহকারী পরিচালক মো: শাওন মিয়া শহীদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। 

এ রায়ের ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় হয়েছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির প্রতিফলন ঘটেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Geen reacties gevonden