close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গভীর রাতে আ.লীগের মিছিল, এসআইকে কুপিয়ে পালানোর অভিযোগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
For violating organizational discipline, Jamaat-e-Islami has expelled Maulana Md. Abdullah Badsha, President of Ward 9 of Nalitabari Municipality, urging members to cut all organizational ties with hi..

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নালিতাবাড়ী পৌর জামায়াতের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ বাদশাকে বহিষ্কার করেছে দলীয় নেতৃত্ব। সকলকে তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নালিতাবাড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ও সক্রিয় কর্মী মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ বাদশাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এই বহিষ্কারের খবরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নালিতাবাড়ী উপজেলা শাখার পরামর্শে এবং পৌরসভা শাখার ২০২৫ সালের ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত কর্মপরিষদ বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহিষ্কারের প্রস্তাব গৃহীত হয়। তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তিনি সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

নালিতাবাড়ী পৌর জামায়াত শাখার সেক্রেটারি মো. আব্দুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অবগত করা যাচ্ছে যে, বহিষ্কৃত মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ বাদশার সাথে কোনো ধরনের সাংগঠনিক যোগাযোগ বা সম্পর্ক রাখা যাবে না।”

দলীয় অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। দলীয় নেতৃত্বের মতে, শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা দলের ভাবমূর্তি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে একইভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় পর্যায়ে শক্ত বার্তা দেবে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, নালিতাবাড়ী অঞ্চলে এই বহিষ্কার দলীয় ক্ষমতার ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাধারণ সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ দলীয় সংহতি রক্ষায় সহায়ক হলেও, যদি বহিষ্কৃত নেতার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত থাকে, তাহলে অভ্যন্তরীণ বিভাজনও তৈরি হতে পারে। তবুও দলীয় মহলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, শৃঙ্খলার বাইরে যাওয়া হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

দলীয় ইতিহাসে এর আগে একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এবারের সিদ্ধান্ত স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ বহিষ্কৃত ব্যক্তি ছিলেন সক্রিয় কর্মী এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী নেতা।

এই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে নালিতাবাড়ীর রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকেও এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে আরও কঠোর নির্দেশনা জারি হতে পারে।

No comments found