গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Attorney General Asaduzzaman has declared that those involved in the murder of journalist Asaduzzaman Tuhin in Gazipur will face the highest legal punishment, with every step of the investigation bein..

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তদন্তের প্রতিটি ধাপ গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে।

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, এই অমানবিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আইনি প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হবে, যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় এবং সাংবাদিক নিরাপত্তা রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়।

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পরিবর্তন’ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অমানবিক এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল স্পষ্ট করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলায় কোনো গাফিলতি বা শিথিলতা থাকবে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো আছে এবং তা আরও উন্নতির জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি জনগণকে আহ্বান জানান, যদি অতিরিক্ত কোনো তথ্য বা অভিযোগ থাকে, তা যেন দ্রুত জানানো হয়, যাতে তদন্ত কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হয়। তিনি আশ্বাস দেন, কোনো অপরাধীই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পালাতে পারবে না।

এর আগে শনিবার সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান শৈলকুপার বারোইপাড়া গ্রামে সুধী সমাবেশে যোগ দেন। পরে তিনি শৈলকুপা সরকারি কলেজ মাঠ, যুগনী গ্রাম এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এই হত্যাকাণ্ড সাংবাদিক সমাজে গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার বিষয়টি নতুন করে সামনে এনেছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের এই কঠোর বক্তব্য সাংবাদিকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে যে, ন্যায়বিচার দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

Ingen kommentarer fundet