গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বানগাজীপুরের চৌরাস্তায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।গাজীপুরের চৌরাস্তায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ক্রমশই সাধারণ জনগণের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসচালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন, জাগ্রত চৌরঙ্গী এলাকায় একটি চক্র নিয়মিতভাবে লোকাল বাস ও ট্রাক থেকে চাঁদা তুলছে। এই চাঁদাবাজির কারণে পরিবহন শ্রমিকদের আয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা তাদের জীবিকা ও দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।বিশেষ করে ঈদুল আজহার সময় এই ধরনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায়, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জনগণ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে, যা যানজট ও চুরি ছিনতাই প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। তবে, স্থানীয় বাসিন্দারা আরও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।বাসচালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, চাঁদাবাজ চক্র প্রতিদিন মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং দোকানের বিভিন্ন সামগ্রী ছিনতাই করছে। এছাড়া, পরিবহন সমিতিতে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পরিবহন মালিক ও ড্রাইভাররা জানান, ছোট গাড়ি প্রতি ৭০০ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে, যা তাদের আয়ের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধে তারা সবসময় সতর্ক আছে এবং যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের তরফ থেকে জনগণকে এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে সচেতন থাকার এবং প্রয়োজনে পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও সক্রিয়ভাবে এই সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতা তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে।গাজীপুরের এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব।ট্যাগস: গাজীপুর, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, নিরাপত্তা, পরিবহন
close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
Nessun commento trovato