close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মাঝে, আজ শনিবার তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই তিন জিম্মির মুক্তি সম্ভব হয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও কমিয়েছে।
হামাস জানিয়েছে যে তারা আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যার বিনিময়ে ইসরায়েল ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা কমেছে।
এর আগে, হামাস জিম্মি মুক্তি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগ এনেছিল। তারা গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও এনেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিয়েছিল।
তবে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষই আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই পদক্ষেপটি শান্তি আলোচনার জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
এই মুহূর্তে গাজায় ৭৬ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে অর্ধেকের বেশি জীবিত আছেন। আজকের জিম্মি মুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে আরও অনেক কাজ বাকি আছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গাজা থেকে সমস্ত জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা এবং দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত করা। একই সাথে, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার, ধ্বংসস্তূপের পুনর্গঠন এবং খাদ্য, জল ও বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করাও ছিল এই চুক্তির লক্ষ্য।
তবে, হামাস অভিযোগ করেছে যে ইসরায়েল গাজায় তাঁবু ও সহায়তার সামগ্রী প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ তীব্র শীতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে তারা হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে যে গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণের প্রয়োজন, তার তুলনায় সরবরাহ খুবই অপ্রতুল। এই সাহায্য গাজার মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে, আজকের জিম্মি মুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে আরও অনেক আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন।
לא נמצאו הערות