প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন ত্রাণ নিতে গিয়ে, আর অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন অন্তত তিনজন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের ওপর হামলায় আরও তিনজন নিহত হন। এছাড়া, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান ফিলিস্তিনি জাতীয় বাস্কেটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় মোহাম্মদ শালান।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ক্ষুধা ও খাদ্যাভাব-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ২৬৯ জনে পৌঁছেছে, এর মধ্যে ১১২ জন শিশু।
গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র গাজা সিটিতে এখনো প্রায় ১০ লাখ মানুষ অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া এবং অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, গাজায় এখনকার পরিস্থিতি শুধু “ক্ষুধা” নয়, বরং “অনাহার”। সংস্থাটির ভাষায়, “অপুষ্টি এক নীরব হত্যাকারী, যা শরীরের স্থায়ী ক্ষতি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এবং সাধারণ অসুখকেও প্রাণঘাতী করে তোলে।”