এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের গাজার একটি সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা ছিল। বিতরণকেন্দ্রটি পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে যাননি।
উইটকফের সফর নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। উইটকফ শুধু সহায়তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন না, গাজার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং গাজাবাসীর জন্য আরও কী ধরনের সহায়তা পাঠানো যায় তা নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করবেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। তারা বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও খাদ্য অবরোধ বন্ধ করানোর জন্য। পাশাপাশি জিএইচএফের মতো সহায়তা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ওই সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রতি নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে একাধিক দেশ। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং পর্তুগাল এ ঘোষণা দেয়। এর আগে স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। ফ্রান্সও জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে তারা।
জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল বলেন, গাজায় যেসব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, তা কল্পনারও অতীত। মানবিক বিপর্যয় ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
সূত্র: আল-জাজিরা