close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ফিলিস্তিনের আরও গভীরে ইসরায়েলি সেনারা, নেতানিয়াহুর দখলের নতুন পরিকল্পনা!..

Mamun Sorder  avatar   
Mamun Sorder
ফের ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল! গাজার আরও গভীরে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত উপত্যকার আরও জমি দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবি..

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাদের গাজার আরও গভীরে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিরা মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আরও জমি দখল করা হবে। শুক্রবার (২১ মার্চ) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি সেনারা গাজা শহরের পশ্চিমের তিনটি পাড়ায় বড় ধরনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। 

 

রকেট হামলার পরই বড় সিদ্ধান্ত: উত্তর গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেট প্রতিহত করার পর ইসরায়েল এই নতুন অভিযানের ঘোষণা দেয়। উত্তর গাজা থেকে ছোড়া রকেট ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর আশকেলনে আঘাত হানার পরপরই সেখানে সাইরেন বাজতে শুরু করে। এই ঘটনার পরই ইসরায়েল গাজার নতুন এলাকায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেয়। 

 

গাজার উত্তর-দক্ষিণ বিভক্তকরণ ও নতুন অবরোধ: ইসরায়েলি সেনারা গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিভক্ত করা করিডোরের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করেছে। তারা এখন উত্তরের শহর বেইত লাহিয়া এবং দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শহর রাফাহর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা শহরসহ উত্তর গাজাকে আবারও অবরোধ করেছে। 

 

দখলদারির নতুন পরিকল্পনা: শুক্রবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, "ইসরায়েল গাজায় আরও তীব্র হামলা চালাবে, যতক্ষণ না হামাস সব জিম্মিদের মুক্তি দেয়।" তিনি আরও বলেন, "আমি সেনাবাহিনীকে গাজার আরও অঞ্চল দখল করার নির্দেশ দিয়েছি। হামাস যত বেশি জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তত বেশি অঞ্চল তারা হারাবে, আর সেই এলাকা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হবে!" 

 

স্থায়ীভাবে গাজায় দখলদারির পরিকল্পনা: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও হুমকি দেন যে, গাজার চারপাশে বাফার জোন সম্প্রসারণ করা হবে, যা ইসরায়েলের স্থায়ী দখলদারির পথ সুগম করবে। এই নতুন অভিযানের ফলে গাজায় সহিংসতা আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি