এমসিএএক্সে জুন ৫ চুক্তি অনুযায়ী, স্বর্ণের দাম বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে প্রতি ১০ গ্রামে ৯৪ হাজার ৬১৫ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ২.১৪ শতাংশ বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারেও স্বর্ণের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নজর রাখছেন যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা এবং ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সিদ্ধান্তের দিকে।
ডলারের ইনডেক্স প্রায় অর্ধ শতাংশ কমে গেছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা বাড়ায় দেশটির মুদ্রার ওপর চাপ পড়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বার্ষিক হারে ০.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এপ্রিল মাসে পরপর দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির শিল্প উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে। আইএসএম-এর তৈরি ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই সূচক মার্চের ৪৯.০ থেকে এপ্রিল মাসে নেমে এসেছে ৪৮.৭-এ, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ডলার দুর্বল হলে অন্য মুদ্রায় স্বর্ণ কিনতে খরচ কমে যায়, ফলে বিশ্ববাজারে সোনার চাহিদা বাড়ে এবং দাম সমর্থন পায়।
যদিও বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য আলোচনাই এখনো সোনার মূল চালক, তবে বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস এবং সুদের হারের গতিপথে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে।
এলকেপি সিকিউরিটিজের কমোডিটি ও মুদ্রা বিশ্লেষক এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট যতীন ত্রিবেদী বলেন, 'মার্কিন ফেডার সুদের হার কমাতে পারে এমন প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্রয়চাপ দেখা দিয়েছে, যার ফলে সোনার দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।"
তিনি আরও বলেন, 'বাজারে নতুন করে ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা, ডলারের দুর্বলতা এবং ফেডের নীতিগত অবস্থান ঘিরে আশাবাদ—এই তিনটি বিষয় মিলে স্বর্ণের উত্থানকে জোরালো সমর্থন দিচ্ছে।'
ত্রিবেদী বলেন, 'এফওএমসি-র সিদ্ধান্ত ঘিরে বাজারে উৎকণ্ঠা রয়েছে, বিশেষ করে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সুদের হার নিয়ে প্রকাশ্য মতবিরোধ দেখা গেছে। যদি ফেড নরম অবস্থান নেয় বা সত্যিই হার কমায়, তবে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে, যদি কোনো কঠোর বার্তা আসে, তবে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।