বিএনপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সরকারকে শহীদদের লাশ ফেরত দিতে হবে। তিনি দাবি করেন, আন্দোলনে নিহতদের রক্তের বিচার না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সরকারের উদ্দেশে তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সরকারকে শহীদদের লাশ ফেরত দিতে হবে।” মঙ্গলবার এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনে অসংখ্য যুবক ও ছাত্র শহীদ হয়েছেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথ উত্তাল হয়েছে। কিন্তু এখনো সরকার সেই শহীদদের প্রতি কোনো ন্যায্যতা দেখায়নি। “আমরা শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করব না, তাদের লাশের হিসাব এই সরকারকে দিতে হবে”—যোগ করেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর দাবি, আন্দোলনে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করা হয়েছে। নিহতদের পরিবার ন্যায়বিচারের জন্য হাহাকার করছে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দায়িত্ব পালন করছে না। তিনি বলেন, “যে সরকার নিজের জনগণের রক্তের দায় স্বীকার করে না, সেই সরকার ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও গণতন্ত্রকামী জনগণ আন্দোলন থেকে সরে যাবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, তবে তা হবে জনগণের রক্তে রঞ্জিত নির্বাচন। “আমরা সেই নির্বাচন হতে দেব না, যদি না শহীদদের জন্য বিচার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়”—হুঁশিয়ারি দেন পাটওয়ারী।
সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা “শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না” স্লোগান দিয়ে সমাবেশ প্রকম্পিত করেন। তারা সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এই বক্তব্য মূলত আন্দোলনের গতি বাড়ানোর ইঙ্গিত বহন করে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে তা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।