তবুও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আয়োজিত আসরগুলোতে প্রায় প্রতিবারই এক গ্রুপে দেখা যায় ভারত-পাকিস্তানকে। আয়োজকরা একে দেখছেন 'বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক' বলেই—সেই লক্ষ্যেই বারবার দুই দলকে একই গ্রুপে রাখার কৌশল।
গতকাল ঘোষিত এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সূচিতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এক গ্রুপে রাখা হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে। ফলে ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে দুই দল। উভয় দল সুপার ফোরে উঠলে ২১ সেপ্টেম্বর আবার দেখা হবে। এমনকি ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালেও দেখা যেতে পারে তাদের।
তবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন এই নিয়মিত দ্বন্দ্বকে ভালো চোখে দেখছেন না। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৬২ বছর বয়সী আজহার বলেন, ‘শুরু থেকেই আমার অবস্থান স্পষ্ট—যদি আপনি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে না চান, তাহলে অন্য টুর্নামেন্টেও খেলার প্রয়োজন নেই। এসিসি বা আইসিসি ইভেন্টে ভারতের পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যদিও সরকারের বা বিসিসিআইয়ের, তবে নীতিগতভাবে এটি সঠিক বার্তা দেয় না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে আবার যখন টুর্নামেন্টে খেলছে, সেটা ভণ্ডামি বলেই মনে হয়।’
উল্লেখ্য, পেহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তখন ভারতের কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা শুধু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, বরং এসিসি বা আইসিসির আসরেও আর খেলবে না।
সম্প্রতি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) নামের সাবেক ক্রিকেটারদের একটি লিগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করেছিলেন ভারতের শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান ও সুরেশ রায়নারা। যদিও সেটি ছিল বিনোদনধর্মী একটি টুর্নামেন্ট, যার সঙ্গে বিসিসিআই বা আইসিসির আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই।
আজহারউদ্দিন বলেন, ‘ওটা ছিল ব্যক্তিগতভাবে আয়োজন করা একটি লিগ। সেখানে কোনো বোর্ড বা সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু এসিসি ও আইসিসির টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তগুলো বোর্ডের হয়, তাই বিষয়টা আরও গুরুত্বপূর্ণ।’