close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

এনসিপি নেতাদের কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে মনে সন্দেহ জেগেছে: রিজভী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP senior joint secretary Ruhul Kabir Rizvi raised concerns over the recent trip of some NCP leaders to Cox’s Bazar, urging transparency and discouraging secrecy to avoid public suspicion.

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন নেতার কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ জন্মেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি, তাই লুকোচুরি নয় বরং প্রকাশ্যে যাওয়া উচিত।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে মানুষের মনে গভীর সন্দেহ ও সংশয় দেখা দিয়েছে। এই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত এক পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

রিজভী জানান, এনসিপির নেতারা কক্সবাজার যেতেই পারেন, এতে কোনো বাধা নেই। সেখানে যদি কোন কূটনীতিক বা অন্য কারো সঙ্গে তাদের বৈঠক বা আলাপ-আলোচনা হয়, সেটাও স্বাভাবিক। তবে মানুষের সবচেয়ে বড় সংশয় হচ্ছে এই ভ্রমণ লুকোচুরি করে করা হচ্ছে, যা জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি করছে। তিনি সরাসরি নেতাদের সতর্ক করে বলেন, “এই লুকোচুরি বন্ধ করুন।”

তিনি আরও বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থানে আপনি নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, এখানে অংশগ্রহণ করেছেন। জনগণ আশা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকা উচিত।” রিজভী প্রশ্ন তোলেন, “কেন এই সুযোগ তৈরি হচ্ছে? কেন আপনারা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছেন?”

তিনি উল্লেখ করেন, “আপনারা যে কোনো কাজে যেতে পারেন, যে কারো সঙ্গেই দেখা করতে পারেন। কিন্তু সেটা যদি প্রকাশ্যে জানানো হয়, তাহলে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। লুকোচুরি করলে মানুষ নানা ষড়যন্ত্র কল্পনা করবে, যা থেকে বিভিন্ন গল্প-গুজব তৈরি হবে।”

রিজভীর এই মন্তব্য এনসিপির নেতাদের উদ্দেশ্য সরাসরি সতর্কবার্তা হিসেবেই গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়টি নতুন মাত্রা পাচ্ছে, কারণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিটি ছোট ছোট ঘটনাই বড় আলোচনার সৃষ্টি করে।

সরকারি পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যখন ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এমন অস্পষ্ট কার্যক্রম জনমনে অবিশ্বাস বাড়ায় এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র করে। তাই রাজনীতিকদের উচিত পারদর্শিতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা।

এই ঘটনাটি এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার এক নতুন অধ্যায় বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, তা সময়ই বলবে।

No comments found