close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এখন অসুস্থ, প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন!..

Rajesh Gour avatar   
Rajesh Gour
সংসারে উপার্জনক্ষম এক মাত্র ব্যক্তি দিনমজুরি স্বামী। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সবার পেটের ভাত জোটাতেন।..

 

কিন্তু তিনিই এখন ছয় মাস ধরে অসুস্থ। রোগাক্রান্ত হয়ে ঘরেই কাটছে দিন-রাত তার। এখন আর যেতে পারেন না কাজে, তাই প্রায় দিনই কাটে আধপেটে। টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা।

বলছি নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের আশ্রয়নের বাসিন্দা আবেদা খাতুন ও তোতা মিয়া দম্পত্তির কষ্টে কথা। 

স্বামীর ভিটে বাড়ি কিছুই নেই দুই বছর আগে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে উঠেন। সেখানেই বসবাস, সংসারে অভাব চিরসঙ্গী। গত ছয় মাস আগে স্বামী তোতা মিয়ার মুখে ভিতরে ঘাঁ হয় এমনটাই ভেবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করেননি।  বর্তমানে সেই রোগ জটিল হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ময়মনসিংহে ডাক্তার দেখালে টিউমার হয়েছে জানা যায়, যা অপারেশন ও সঠিক চিকিৎসা না পেলে ক্যান্সারে রুপ নেবে এমনটাই ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী আবেদা খাতুন। 

একদিকে রোগাক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসা অপরদিকে সন্তানদের জন্য খাবার জোগানো এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আবেদা খাতুন।

তিনি বলেন, আমি খুব কষ্টে আছি। আমার স্বামী সুস্থ হলে আমার কষ্ট থাকবে না আমার স্বামীকে বাঁচাতে চাই।

অভাবের সংসারে যেখানে ঠিক মত দুবেলা খাবার জুটাতেই হিমসিম খেতে হয়, সেখানে স্বামীর চিকিৎসা করে বেঁচে থাকা যেন দুঃসাধ্যের। তাই সরকারি সহযোগিতা ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ স্থানীয়দের।

আবেদা ও তোতা মিয়া দম্পত্তির সংসারে তিন মেয়ে সন্তানের একজন বাক এবং আরেকজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তাদের মধ্যে একজনের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়েছে আর তাতে যে টাকা আসে তাতে চাল কিনতেই ফুরিয়ে যায়। অসুস্থ স্বামী, পেটে ক্ষুধা আর সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন তার। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার মাধ্যমে তোতা মিয়া সুস্থ হয়ে উঠে উপার্জনে গেলে কষ্ট কমে আসবে এমনটাই আকাঙ্খা আবেদার।



कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator