এবার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কারণ জানাল ভারত

Abdullah Al Mamun avatar   
Abdullah Al Mamun
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার কারণ নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা।..

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার কারণ কী—এবার তার ব্যাখ্যা দিল ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে কথা বলেছেন মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের আমি মনে করিয়ে দিই, আমরা এ ঘোষণা (ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল) দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সাইডে কী কী হয়েছে সেটিও দেখবেন। 'কী হয়েছে' এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি এই কূটনীতিক।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন রণধীর জয়সোয়াল। তিনি বলেন, আঞ্চলিক একত্রীকরণ এবং বাণিজ্য বিষয়ক, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে আমাদের যে ঘোষণা, এটি কোনোভাবেই নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না।

দেখুন আমাদের মাথায় আছে, আঞ্চলিক বাণিজ্যকে বর্ধিত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। আর আমি এভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে দেখতে চাই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক এবং ইতিবাচক সম্পর্ক চাওয়া অব্যাহত রেখেছি।

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে জয়সোয়াল বলেন, ভারত বারবার বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এক ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ সম্পর্ক চায়। 'গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' বাংলাদেশ দেখতে ভারত আগ্রহী।

আজ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায় এই সফর।

চলতি মাসেই বাংলাদেশে আসবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এ বিষয়টি ভারত কোন চোখে দেখছে জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।’

এর বাইরে তিনি অন্য কোনো মন্তব্য করেননি। গত ৮ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তারা। এ সময় বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে পণ্য জটের কথা উল্লেখ করে তারা।

Keine Kommentare gefunden