রোববার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১২তম দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচ্য সূচিতে রয়েছে।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যেই যেভাবেই হোক একটি যৌক্তিক জায়গায় আসতে। যা হবে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জনগণ এই সংলাপের দিকে তাকিয়ে আছে। আলী রীয়াজ বলেন, "দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হয়ে জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারলে আমাদের দিক থেকে, আপনাদের দিক থেকে সর্বোপরি নাগরিকদের থেকে সবাই প্রত্যাশায় আছেন, দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে প্রত্যাশা করছেন আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে যেতে পারব।"
সংলাপে অংশ নেওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "আপনারা নিয়মিত আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এতে বারবার প্রমাণ হচ্ছে আপনারা আন্তরিকভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া এবং তার এজেন্ডা তৈরি করার ব্যাপারে, বাংলাদেশের ভবিষ্যত পথরেখা তৈরি করার ব্যাপারে আন্তরিক।"
ড. আলী রীয়াজ দৃঢ়ভাবে জানান, "আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যে কোনোভাবেই হোক ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই। কারণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা, অন্যান্য সাংগঠনিক কাজ, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আপনাদের অংশগ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে, তা আমরা চাই না। সেদিক থেকে বিবেচনা করে আমরা যে মৌলিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আলোচনা করছি—সেগুলো নিয়ে দ্রুত ঐকমত্যের জায়গায় আসতে পারলে আমাদের পক্ষে এ পর্বের যৌক্তিক সমাপ্তি এবং জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।"
তিনি আরও বলেন, "মৌলিক কিছু বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি, কিছু বিষয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আছি। আজকের (এজেন্ডার) দুটো বিষয়ে গত কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা খুব কাছাকাছি আছি। সেদিক থেকে আমরা বিবেচনা করছি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার সমাপ্তি টানতে পারি।"