বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে চরমপন্থা ও মৌলবাদের অভয়ারণ্য যেন কোনো দিন না গড়ে ওঠে। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে চরমপন্থা ও মৌলবাদের অভয়ারণ্য যেন কোনো দিনও গড়ে না ওঠে—এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, এ দেশকে কখনোই উগ্রবাদ বা চরমপন্থার পথে ঠেলে দেওয়া যাবে না। এজন্য সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘গণতন্ত্র উত্তরণে কবি সাহিত্যকদের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশে কোনো স্বৈরশাসন বা কর্তৃত্ববাদী শক্তি যেন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা কিছুদিন আগেই স্বৈরাচারকে বিদায় জানিয়েছি। তাই তার পুনর্জাগরণ রোধ করা সবার দায়িত্ব।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শ বা মতপার্থক্য কোনো সমস্যার কারণ নয়। বরং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে হবে। তারেক রহমান বলেন, “দেশের মালিকানা একমাত্র জনগণের। সেই সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এগুলো সম্ভব নয়।”
তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, দেশে জবাবদিহিতামূলক অবস্থা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। আর তা সম্ভব হবে কেবলমাত্র জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার মধ্য দিয়ে। তিনি আহ্বান জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এ সময় তিনি কবি, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে বলেন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তিই পারে গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে। সাহিত্য-সংস্কৃতির শক্তি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, অধিকার আদায়ের চেতনায় উজ্জীবিত করে। তাই কবি-সাহিত্যিকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমানের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মৌলিক অধিকার রক্ষা ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, “চরমপন্থা কিংবা মৌলবাদের কোনো অভয়ারণ্য এই ভূখণ্ডে যেন তৈরি হতে না পারে—এটাই বিএনপির প্রত্যাশা।”
তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে। তারেক রহমানের এই আহ্বান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা সঞ্চার করেছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অবাধ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাই হবে মূল চালিকাশক্তি—এমন বার্তাই দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।