close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

Rajesh Gour avatar   
Rajesh Gour
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার দাসের (৫৭) মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।..

 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেসড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি পৌরশহরের আমলাপাড়া এলাকার মৃত চন্দ্র শেখর দাসের বড় ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী শেলী রানী দাস স্কুলের এক শিক্ষককে ফোন করে জানান, তাঁর স্বামী অসুস্থ। তিনি দ্রুত বাসায় আসতে বলেন। পরে ওই শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন বাসায় এসে পৌঁছালে শেলী রানী তাঁদের ভেতরে যেতে না দিয়ে বলেন, ডাক্তার ডাকতে।

তবে উপস্থিত এলাকাবাসী ও শিক্ষকরা তাঁর আচরণে সন্দেহজনক কিছু বিষয় লক্ষ্য করে জোর করে ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা দেখেন, শিক্ষক চন্দন কুমার দাসের শরীর ঠান্ডা এবং তাঁর হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটাছেঁড়ার চিহ্ন রয়েছে।

পরে দ্রুত তাঁকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেখান থেকে তাঁকে কমিউনিটি বেসড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচ দিন আইসিইউতে থাকার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।

 

সহকর্মী শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, চন্দন স্যারকে যখন হাসপাতালে নেওয়া হয়, তাঁর গলা ও বাম হাতে কাটার দাগ ছিল, সেখান থেকে রক্ত ঝরছিল। মুখ দিয়েও গন্ধযুক্ত লালা বের হচ্ছিল। মনে হয়েছে, তাঁকে চেতনানাশক কিছু খাওয়ানোর পর নির্যাতন করা হয়েছে।

এদিকে তথ্য বলছে, ছয় মাস আগে চন্দন কুমার দাসের ছোট ভাই টুকন চন্দ্র দাসের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। তাঁদের কোনো সন্তান না থাকায় তিনি ছোট ভাইয়ের মেয়ে টুম্পা দাসকে মেয়ের মতো করে লালন-পালন করতেন। সূত্রে মতে, এ বিষয়টি নিয়েই স্ত্রী শেলী রানী দাস প্রায়ই ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে জড়াতেন।

প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে একের পর এক আলোচনা ও মন্তব্য। স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার।

 

 

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator