close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

দুপচাঁচিয়ার  কইলে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় রথ যাত্রা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত, মানুষের ঢল ..

Sushanto Malakar avatar   
Sushanto Malakar
সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

 

 

বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় উৎসবমুখর পরিবেশে রবিবার (২ নভেম্বর ) ১৫ কার্তিক বাংলা, বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার কইল গ্রামে ঠাকুরবাড়ি শ্রী শ্রী কালাচান বিগ্রহ মন্দিরে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথ যাত্রা মহোৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই উৎসবে শামিল হন হাজারো ভক্তবৃন্দ। আয়োজনের পুরোভাগে ছিল কইল গ্রামবাসী ভক্ত বৃন্দ।
রথযাত্রাটি ঠাকুরবাড়ি শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির থেকে বের হয়ে সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। এতে গ্রামবাসী ভক্তবৃন্দ ছাড়াও  আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে আসা ভক্তরা অংশ নেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মহাধুমধামে পালিত হলো এ উৎসব। 
এর মধ্য দিয়ে এই উৎসব সমাপ্ত হলো।
এর আগে সকালে কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দিরে নাম যজ্ঞ ও নীলা কীর্তনের  মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। 
কালাচাঁদ বিগ্রহ  মন্দিরের পুরোহিত  কানু কমল শর্মা বলেন, রথযাত্রা উৎসবের গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে এবং এটি সমাজকে ভক্তি, ঐক্য ও সহমর্মিতার চিরন্তন মূল্যবোধে একত্রিত করে। বৈষ্ণব ধর্মীয় ঐতিহ্যে শেকড় গেঁথে থাকা এই উৎসব ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘকালীন সাংস্কৃতিক বন্ধনের এক উজ্জ্বল প্রতীক। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক শুধু সীমান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; আমরা যুগ যুগ ধরে ইতিহাস, সাহিত্য, সঙ্গীত ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের সৌহার্দ্য ভোগ করে চলেছি।
তিনি আরও বলেন, রথযাত্রা কেবল একটি উৎসব নয়, এটি এক মহত্তম ঈশ্বরভক্তির প্রকাশ। এই দিনে ভগবান জগন্নাথ, যিনি কৃষ্ণের এক অবতার, তাঁর মন্দির থেকে বের হয়ে ভক্তদের সঙ্গে মিলিত হন। আজকের এই উদযাপন প্রমাণ করে যে, এমন উৎসবগুলি কীভাবে সমাজে মিলন, ভালোবাসা, শান্তি, ঐক্য ও আনন্দের বার্তা ছড়িয়ে দেয় এবং চিরায়ত মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখে।বিগ্রহ মন্দিরের আরেক পুরোহিত শ্রী মনোরঞ্জন চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, 
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ প্রচার ও আধ্যাত্মিক সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অহিংসা, বিনয়, সহানুভূতি, সততা ও নৈতিকতা এই মূল্যবোধসমূহ আজকের বিশ্বে অত্যন্ত জরুরি। এ গুণাবলি একটি ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সহায়তা করে এই প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।
তিনি বলেন, প্রার্থনা করি- ভগবান জগন্নাথ যেন আমাদের সবাইকে সুস্থতা, সুখ ও আধ্যাত্মিক উন্নতির আশীর্বাদ দেন। রথযাত্রার এই উৎসব বছরের পর বছর বেঁচে থাকুক এবং তার বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক ঈশ্বরভক্তি, ভালোবাসা ও বৈশ্বিক ভ্রাতৃত্বের। আসুন, আমরা একসঙ্গে মিলে গড়ি এমন একটি সমাজ, যা গঠিত হবে পারস্পরিক বোঝাপড়া, শান্তি ও সম্প্রীতির ভিত্তিতে।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator