দুই সন্তানের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মায়ের মামলা, যশোর

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
দুই ছেলে সন্তান থাকতেও বৃদ্ধা মাকে কেউ দেখেন না।

দুই ছেলে সন্তান থাকতেও বৃদ্ধা মাকে কেউ দেখেন না। খাওয়া দাওয়া দেয়া দূরে থাক খোঁজও রাখেন না কেউ। এমনকি স্বামীর বাড়ি থেকেও তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে রোববার যশোর আদালতে মামলা করেছেন অভয়নগর উপজেলার ধোপাদি গ্রামের রিজিয়া বেগম নামে ওই বৃদ্ধা।মামলায় দুই পুত্র ও তাদের স্ত্রীদের আসামি করা হয়েছে।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডল অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।আসামিরা হলেন দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও বিল্লাল হোসেন এবং ফারুক হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম।রিজিয়া বেগম মামলায় উল্লেখ করেছেন, আট বছর আগে তার স্বামী হাচান আলী মারা যান। এরপর পুত্রবধূরা তার সাথে ভালো ব্যবহার করতেন না। তাকে দিয়ে বাড়িতে কাজ করানো হতো। না পারলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন। নাতি পোতাকে তার কাছে যেতে দিতেন না। বিষয়টি পুত্রদের জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি।২০২২ সালের ১৩ মার্চ সকালে বাড়িতে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে রিজিয়া বেগমের একটি পা ও একপি হাত ভেঙে যায়। কিন্তু পুত্র ও পুত্রবধূরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। শুধু তাই নয়, হাত-পা ভাঙা অবস্থায় একই বছরের ১৬ এপ্রিল তাকে স্বামীর ভিটা থেকে তাড়িয়ে দেন পুত্র ও পুত্রবধূরা। এরপর থেকে বিবাহিত কন্যরা মাকে তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসাসহ দেখভাল করতে থাকেন।দীর্ঘ তিন বছর পর গত ১৮ মে সকালে কন্যারা তার মাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যান। এ সময় পুত্র ও পুত্রবধূদের কাছে ভরণপোষণের দাবি করেন রিজিয়া বেগম। কিন্তু তারা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।

Aucun commentaire trouvé


News Card Generator