দুই বছরের মধ্যে প্রথম হাফেজ পেয়ে গ্রামবাসীরা স্বাগতম জানিয়েছেন মাদ্রাসার মুহতামিমকে।
স্টাফ রিপোর্টার মোঃ ইউসুফ চৌধুরী।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি গত ৭ আগস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার তাদের ইতিহাসের প্রথম হাফেজ হিসেবে হাফেজ মুহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে উপস্থাপন করেছে, যিনি পবিত্র কুরআনের ৩০ পারা হিফয সম্পন্ন করেছেন।
শুরু থেকেই আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় করে পথ চলা শুরু করে মাদরাসাটি। মাত্র দুই বছর পার না হতেই ৭৪ জন শিক্ষার্থী কুরআনের সবক নিয়েছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে আরও দুজন শিক্ষার্থীর হাফেজ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানের হিফয বিভাগ কতটা সচেতনতা ও যত্ন সহকারে পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে মাদ্রাসায় ১৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষার সমন্বয়ে পাঠদান করা হয়। পাশাপাশি দ্বীনী শিক্ষায় গতি বেগবানের লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে আলাদা বিভাগসমূহ— আদর্শ নূরানী, নাজেরা, আন্তর্জাতিক হিফয ও কিতাব বিভাগ। ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক শাখা চালু রয়েছে, যা অভিভাবকদের মধ্যে আস্থা জাগিয়ে তুলছেন।
কাঞ্চনের মতো এলাকায় স্বল্প সময়ে এ ধরনের সাফল্য যে ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু দেখার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জামিয়া ইসলামিয়া রিয়াজুল জান্নাহ মাদ্রাসার এই অর্জন শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নয়, বরং পুরো এলাকার জন্যই এক গর্বের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় লোকজন।