close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

দ্রুত ইলেকশন অ্যাপ উদ্বোধনের নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Chief Adviser Muhammad Yunus has ordered the swift launch of the ‘Election App’ before the upcoming polls, ensuring it is easily accessible to over 100 million voters.

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন ভোটের আগে ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য ‘ইলেকশন অ্যাপ’ দ্রুত চালুর নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটারদের সুবিধার্থে ‘ইলেকশন অ্যাপ’ দ্রুত উদ্বোধনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই অ্যাপটি দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এমনভাবে তৈরি হতে হবে যাতে এটি ব্যবহার করা সহজ হয় এবং যেকোনো বয়সের মানুষ সহজেই এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তি-নির্ভর করা।

রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গণমাধ্যমে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফায়েজ তাইয়্যেব আহমেদ বৈঠকে একটি আধুনিক ‘ইলেকশন অ্যাপ’ চালুর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এই অ্যাপের মূল উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের কাছে সঠিক ও আপডেট তথ্য পৌঁছে দেওয়া এবং ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

প্রস্তাবিত অ্যাপটিতে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের প্রার্থীদের বিস্তারিত প্রোফাইল, ভোটকেন্দ্রের সঠিক অবস্থান, ভোটের দিন সংক্রান্ত আপডেট এবং অভিযোগ দায়েরের জন্য ইন্টারেকটিভ ফিচার থাকবে। পাশাপাশি ভোটের ফলাফল ও গণনা সংক্রান্ত তথ্যও রিয়েল-টাইমে পাওয়া যাবে।

ফায়েজ তাইয়্যেব আহমেদ জানান, অ্যাপটি ডিজাইন করার সময় ব্যবহারকারীর সুবিধাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এমনকি গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষ যাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কম, তারাও সহজে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। এর ইন্টারফেস হবে বাংলাভাষী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী এবং প্রয়োজনে ইংরেজি সংস্করণও যুক্ত করা হবে।

বৈঠকে পরিকল্পনা শোনার পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, ভোটের আগে এই অ্যাপ চালু করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভোটাররা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য আগেই জেনে নিতে পারেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উদ্যোগ ভোটারদের জন্য একটি বড় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এই অ্যাপ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও আস্থার নতুন মাত্রা যোগ করবে। একইসাথে, ভোটের সময় অনিয়ম বা অভিযোগের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাওয়ার পথও খুলে দেবে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এত বড় আকারে ডিজিটাল নির্বাচনী সেবা চালুর এই পরিকল্পনা ভোটারদের সাথে নির্বাচন কমিশনের সরাসরি যোগাযোগ সহজ করবে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই অ্যাপ শুধু ২০২৫ সালের নির্বাচনেই নয়, ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।

No comments found