কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ বাচ্চু’র মাছের পুকুরে দূবৃর্ত্তদের দেওয়া বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেটে অর্ধকোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে অমানবিক এ ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্থ যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ বাচ্চু দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক।
যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ বাচ্চু জানান, আমার মালিকানাধীন তিনটি মাছ চাষের পুকুরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের আঁধারে দূবৃর্ত্তরা গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে। এতে পুকুরের লক্ষ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা যায়। পুকুরে ১০-১৫ কেজি ওজনের বেশ কিছু চিতল ও রুই মাছও ছিল।
বুধবার সকালে গিয়ে দেখি সব মাছ মরে পুকুরে ভাসছে। তিনি দাবি করেন, ক্ষতির পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা হবে। তিনি আরো জানান, আমার ধারণাও ছিল না এমন ন্যাক্কারজনক কাজ কেউ করতে পারে। এলাকার কারো সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। আমাকে আর্থিকভাবে দূর্বল করার জন্যই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় আমি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি। স্থানীয় মাছ চাষীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দূবৃর্ত্তরাা পুকুর তিনটিতে পাঙ্গাস, মনো, রুই, কাতল, চিতল ও মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির শত শত মন মাছ মরে পানিতে ভাসতে থাকে। বিষ অথবা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরগুলির মাছ মেরে ফেলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে করা হচ্ছে। পুকুর তিনটি আর কোন মাছই জীবিত নেই বলে তারা জানান।
অপর মাছ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মন্ডল জানান, দুই তিন দিন আগেও ৫০ লক্ষ টাকা মাছের দাম বলেছিলাম। কিন্তু তিনি বিক্রি করেননি। বিষ প্রয়োগ করার ফলে পুকুরের সব মাছ মারা গেছে। এরফলে মাছ চাষীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিষ প্রয়োগ মাছ নিধনের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, খবর পেয়ে তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে মাছের সাথে শত্রুতার মত এমন নির্মম ও অমানবিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।