দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রি কলেজে সম্প্রতি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও করণীয় শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১২ই জুলাই ২০২৫ ইংরেজী, অধ্যক্ষ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভাটি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শিক্ষা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি কাজী মুহাম্মদ এরফানুল হক এবং সঞ্চালনা করেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুল বশর রাসেল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম, যিনি পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ফজলুল করিম।
এই সভায় দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
ডা. রেজাউল করিম তার বক্তব্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, 'শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা পদ্ধতি ও কারিকুলামের ব্যাপক পরিবর্তন দরকার।' তার মতে, বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি।
গেস্ট অব অনার ড. মুহাম্মদ ফজলুল করিম তার বক্তব্যে শিক্ষার সাথে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সমন্বয় সাধনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। 'নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সমন্বয় ছাড়া সমাজের অধঃপতন ঠেকানো সম্ভব নয়,' তিনি বলেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার বীজ বপন করা হলে তা দীর্ঘমেয়াদে সমাজের অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী মুহাম্মদ এরফানুল হক মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষাবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত সকলকে কলেজের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে পারব।'
এই মতবিনিময় সভায় শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হয়। বক্তারা উল্লেখ করেন যে, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে সকল স্তরের শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সভার শেষে, কাজী মুহাম্মদ এরফানুল হক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এটি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে শিক্ষা উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।