close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

দীর্ঘদিন অবহেলায় ভেঙে পড়া ফরিদগঞ্জের সড়ক সংস্কার করলেন তরুণ সমাজসেবীরা..

de1f1dfc2 avatar   
de1f1dfc2
সমাজসেবা ফাউন্ডেশনের তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা খাজুরিয়া বাজারের সড়ক সংস্কারে কাজ করছেন।..

দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে ভেঙে পড়া ফরিদগঞ্জ-ব্রহ্মপাড়া সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ খাজুরিয়া বাজারের রাস্তা নিজ উদ্যোগে সংস্কার করলেন আইডিয়াল সমাজসেবা ফাউন্ডেশনের তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা। গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন ধরে তারা বড় বড় গর্ত ইট ও বালু দিয়ে ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। এ উদ্যোগ স্থানীয়দের মাঝে যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি সরকারের প্রতি কড়া প্রশ্নও তুলেছে, কেন তারা দীর্ঘদিন অবহেলা করেছে।

ফরিদগঞ্জ-ব্রহ্মপাড়া সড়কের এই অংশটি স্থানীয় জনজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে, পণ্য পরিবহন হয় এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বড় বড় গর্ত ও খন্দে ভরা থাকায় চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। বর্ষাকালে হাঁটু পানি জমে চলাচল প্রায় বন্ধ থাকতো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সংস্কারের আবেদন করা হলেও তারা কোনও বাস্তব উদ্যোগ নেয়নি। ফলে এলাকার মানুষজন নানা ধরনের দুর্ঘটনা ও অসুবিধায় পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,আমাদের অনেকেই গর্তে পড়ে আহত হয়েছি। চলাচলের জন্য অসাধ্য কষ্ট পেতাম। বর্ষায় হাঁটু পানি জমে হাঁটাচলা প্রায় বন্ধ থাকতো। কিন্তু প্রশাসনের কোনো সাড়া ছিল না।অবশেষে একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবী নিজ উদ্যোগে এই সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে আসেন।

আইডিয়াল সমাজসেবা ফাউন্ডেশনের তরুণরা ঈদের আগে থেকে একটি ক্যাম্পেইন চালিয়ে স্থানীয়  গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হোগলী গ্রামের গর্বিত সন্তান প্রবাসী ও ব্যবসায়ী খোরশেদ গাজী এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অর্থায়ন করেন।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পারভেজ মোশারফ বলেন,আমরা মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চাই। দীর্ঘদিন অবহেলায় ভেঙে পড়া এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। ঈদের আগে থেকে ক্যাম্পেইন শুরু করে তিন ট্রাক ইট ও বালু সংগ্রহ করেছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা দুই দিন নিরলস পরিশ্রম করে গর্তগুলো ভরাট করেছেন।

সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে অনেক সহজ হয়েছে। রিকশা চালক ও বিভিন্ন গাড়ির চালকরা জানান,আগে গর্তে পড়লে গাড়ির ক্ষতি হতো, মালামাল নষ্ট হতো। এখন অনেক সুবিধা হয়েছে।

পথচারীরা বলেন,আমাদের সন্তানরা স্কুলে যাওয়া-আসা করতে ভয় পেতো, কিন্তু এখন সড়ক ভালো হওয়ায় তারা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন,বাজারে পণ্য পরিবহনে আগে অনেক সময় ও খরচ বেশি হতো। এখন রাস্তা ভালো হওয়ায় কাজে সুবিধা হয়েছে।

স্থানীয়রা প্রশাসনের উদাসীনতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ব্যাপারে তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন,

সরকারি কর্তৃপক্ষ সময়মতো কাজ না করায় আমরা স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর নির্ভরশীল হয়েছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়

আইডিয়াল সমাজসেবা ফাউন্ডেশনের তরুণরা আশা প্রকাশ করেছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে সড়ক সংস্কারের কাজ করবে। তারা আরও বলেন,আমাদের এই স্বেচ্ছাসেবী কাজ একটি প্রেরণা হতে পারে। কিন্তু সড়কের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য।

Inga kommentarer hittades