close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত সরাসরি পরীক্ষায় বিনামূল্যে সহায়তা, বিশুদ্ধ পানি, কলম-স্যালাইন বিতরণ ও নিরাপত্তা সেবা..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত সরাসরি পরীক্ষায় বিনামূল্যে সহায়তা, বিশুদ্ধ পানি, কলম-স্যালাইন বিতরণ ও নিরাপত্তা সেবা..

রিপোর্ট মেহেদী হাসান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত সরাসরি ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে এসে ব্যতিক্রমী মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, নরসিংদী জেলা শাখা।

পরীক্ষার দিন শুক্রবার, সকাল থেকেই নরসিংদী শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয় ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্ক।
সেখানে সংগঠনের শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন—পরীক্ষার্থীদের সিট প্ল্যান অনুযায়ী সঠিক কক্ষ খুঁজে পেতে সাহায্য করার পাশাপাশি তারা দিচ্ছিলেন মানসিক সাহচর্য ও সহানুভূতিশীল দিকনির্দেশনা।

সহযোগিতার ক্ষেত্র ছিল বিস্তৃত।
পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী রাখার নিরাপদ ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, প্রয়োজনীয় কলম ও স্যালাইন বিতরণ—সবকিছুই বিনামূল্যে ও আন্তরিকভাবে সরবরাহ করেন শিবিরের সদস্যরা।

এই মানবিক কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নরসিংদী জেলা সেক্রেটারি তাওহীদুল ইসলাম।
তার নেতৃত্বে জেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

জেলা প্রচার সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম প্রধান বলেন, “আজকের পরীক্ষার্থীরাই আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের পাশে দাঁড়ানো কেবল আমাদের দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের আদর্শ ও বিশ্বাসের অংশ।”
তিনি দেশের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের প্রতিও শিক্ষার্থীবান্ধব এমন মানবিক উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এই কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন—জেলা অর্থ সম্পাদক হাফেজ শাহিন, এইচআরএম সম্পাদক হোসেন ফারুক, সরকারি কলেজ সভাপতি আরিফ মাহমুদ, জামেয়া সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, আবাসিক সভাপতি আবু বকর, পৌরসভা সভাপতি হুসাইন আহমাদ ও পলিটেকনিক সভাপতি আরিফ বিল্লাহসহ অনেক নিবেদিতপ্রাণ কর্মী, যারা নীরবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেও এসেছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমি ভয় পাচ্ছিলাম—ঠিকমতো হলে না ঢুকলে পরীক্ষা মিস হয়ে যাবে। কিন্তু শিবির ভাইয়ারা পাশে ছিলেন, রুম খুঁজে পেতে দেরি হয়নি। খুবই কৃতজ্ঞ।”

এই আয়োজন কেবল একটি সংগঠনের কার্যক্রম নয়—এটি ছিল এক মানবিক উদ্যোগ, যা ছাত্র রাজনীতির দায়িত্বশীল, সহানুভূতিশীল ও গঠনমূলক রূপকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রমাণ করেছে, ছাত্র রাজনীতি শুধু মতাদর্শের প্রচার নয়—বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দায়িত্ব নেওয়া এবং ভবিষ্যৎ গড়ার অংশ।

Nenhum comentário encontrado