স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর > দিনাজপুর জেলায় র্যাব ও বিজিবির পৃথক অভিযানে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি এবং ভারতের তৈরি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের অভিযান: রবিবার ভোরে র্যাব-১৩ এর একটি আভিযানিক দল দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের বড়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে এক বাড়িতে অভিযান চালায়। র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা আব্দুল জব্বারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ছেলে মোসলেম (৩৫) এবং মুরসালিন বাবুর (২৮) শয়নকক্ষে একটি তালাবদ্ধ ট্রাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে ১টি অবৈধ বিদেশী পিস্তল ও ১টি ম্যাগাজিনে লোড করা অবস্থায় ৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজিবির অভিযান: অপরদিকে, শনিবার রাতে বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের কিশোরীগঞ্জ বিওপির টহল দল বিরলের পাকুড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। সীমান্ত পিলার ৩৩১/এমপি কাছে সীমান্ত চোরাচালান রোধের এই অভিযানে ভারতের তৈরি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং গাজা সহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন পাকুড়ার মৃত শফি উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন ও তার ছেলে মাসুদ রানা। বিজিবি আটককৃতদের বিরল থানায় সোপর্দ করে মামলা দায়ের করেছে।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ: দিনাজপুরে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এই চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করছে। র্যাব ও বিজিবি এরকম অভিযানের মাধ্যমে চোরাচালান প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এই ধরনের অভিযানগুলি সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়ক হবে এবং স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত অভিযান এবং স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে যাতে এই ধরনের কার্যক্রম পুরোপুরি নির্মূল করা যায়।