মো:সোহেল রানা দীঘিনালা(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি,
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা তাদের নতুন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা আয়োজন করেছে, যা পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রচার করবে।
মঙ্গলবার( ১৪ অক্টোবর) দীঘিনালা উপজেলা সেমিনার কক্ষে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে নতুন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পের নাম 'প্রমোটিং জিইএসআই রেসপন্সিভ ন্যাচার - ব্যাসড সলুশনস ফর এনাব্লিং রেসিলাইন্স ইন সিএইচটি অব বাংলাদেশ', যা মূলত পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি এবং লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের উপর জোর দেয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান। তিনি বক্তব্যে বলেন, "বর্তমান সময়ে বিষমুক্ত খাদ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই আমাদের খাদ্য উৎপাদনে বিষমুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।" সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাঙ্গীর আলম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অর্বনা চাকমা, এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাহাদাত হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা ও মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, হেডম্যান প্রতিনিধি এবং প্রকল্পের অংশগ্রহণকারীরা।সভায় সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্যুইচিং অং মারমা শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। প্রকল্পের বিস্তারিত ব্যাখ্যা মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় দেন হেলভেটাসের থিওমেটিক অফিসার ও ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর দীপ্তিময় চাকমা।মুক্ত আলোচনায় এলএসপি প্রতিনিধি রাহুল চন্দ্র চাকমা জৈব বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. জাঙ্গীর আলম ঝর্ণার পানি কমে যাওয়ার সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং উদাহরণ হিসেবে মেরুং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চংড়াছড়ি ঝর্ণার কথা উল্লেখ করেন।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অর্বনা চাকমা প্রকল্পে মৎস্য এবং পশুপালন অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাহাদাত হোসেন বলেন, "দীঘিনালা উপজেলায় কমলা চাষে মাটির গুণগত কারণে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।" তিনি এই প্রকল্পকে যুগোপযোগী মন্তব্য করে বলেন, "খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হাইব্রিড জাতীয় ফসলের ব্যবহার বাড়ছে, যা মাটির উর্বরা শক্তি কমিয়ে দেয়।"সমাপনী বক্তব্যে, সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা বলেন, "এই প্রকল্পটি একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগ। এর সার্বিক লক্ষ্য হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে জলবায়ু-সহনশীল, টেকসই এবং লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কৃষি অনুশীলন প্রতিষ্ঠা করা।" তিনি প্রকৃতিনির্ভর সমাধান হিসেবে কৃষিবান্ধব পরিবেশগত পদ্ধতি প্রচারের উপর জোর দেন।পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রকল্পটি দীঘিনালা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় কৃষকদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			