মো: সোহেল রানা দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা কামাকুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কিশোর-কিশোরী অংশ গ্রহনে “সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি” বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা হযেছে।
সোমবার(১৩অক্টোবর) সকালে কামাকুছড়া উচ্চ বিদ্যালয় কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প (বারটান অংগ) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) কৃষি মন্ত্রণালয় তত্বাবধানে “সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি” বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন কামকুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুখু মনি চাকমা‘র সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা থেকে আগত মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মূখ্য বৈজ্ঞানিক সহকারি কর্মকর্তা মো: কাউসার আহমেদ,দীঘিনালা প্রেসক্লাব‘র সাবেক সভাপতি মো: সোহেল রানা প্রমূখ।
ফলিত পুষ্টি” বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা মনে করি, দামী খাবারের বেশি পুষ্টি থাকে, তার ধারনাটা ভুল মাছ মাংসের চেয়ে শাকসবজি ফলমূলে বেশি পরিমান খাদ্যের গুন ও পুষ্টি থাকে। শুধু সংরক্ষন ও রান্নাবান্ন কৌশল ও নিয়ম জানা থাকলে। সকল প্রকার শাক সবজি রান্না করার আগে কাঁটার সময় আগে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, কাঁটার পর ধুয়া যাবেনা। কাঁটার পর শাক সবজি ধুলে শাক সবজিতে থাকা ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি পানি সাথে চলে যায় এতে খাবারের পুষ্টিগুন অনেক নষ্ট হয়ে যায়। এক শাক সবজি আলাদা আলাদা করে রান্না না করে অনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে। শিশু কিশোরদের স্বাস্থ ভালো থাকে মেধাবিকাশ ঘটে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাড়তি পুরণ করে শরীরে শক্তি যোগায়। তাই বেশি করে বেশিও শাক সবজি ও ফলমূল বেশি বেশি খেতে হবে। এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য রাখতে ও সংরক্ষন করতে হবে। রান্নাঘর ও টয়লেট পরিস্কার পরিচ্চন্ন রাখতে হবে।
আলোচনা সভাশেষে স্কুলের কিশোর কিশোরীদের মাঝে পুষ্টি গুণাগুন সম্বলিত থালা ও চারা গাছ প্রদান করা হয়।