close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ডিবি হারুনের যে মেয়ে ভাল লাগতো, ব্যবস্থা করে দিতো লায়লা : টিকটকার প্রিন্স মামুন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
A resurfaced interview of TikToker Prince Mamun sparks debate as he alleges Layla arranged women for former DB officer Harun.

টিকটকার প্রিন্স মামুনের পুরানো সাক্ষাৎকার নতুন করে আলোচনায়। তিনি দাবি করেন, ডিবি হারুনের পছন্দের মেয়েদের সুযোগ করে দিত লায়লা।

টিকটক তারকা প্রিন্স মামুনকে ঘিরে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নারী পাচার, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি আলোচনায় আসা এই টিকটকারের পুরানো এক সাক্ষাৎকার আবার সামনে চলে এসেছে। পুরানো সেই সাক্ষাৎকারে মামুন চাঞ্চল্যকর দাবি করেন—সাবেক ডিবি কর্মকর্তা হারুন তার প্রভাব খাটিয়ে যেসব নারীকে পছন্দ করতেন, তাদের সুবিধা করে দিতেন। আর এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গী ছিলেন লায়লা, যিনি পরবর্তীতে মামুনের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তোলেন।

মামুন সাক্ষাৎকারে জানান, “লায়লা ছিল আমার সবচেয়ে কাছের একজন। আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। কিন্তু সেই লায়লাই আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে। ডিবি হারুণ একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি ডিবি অফিসে এসো, তোমার সঙ্গে জরুরি কিছু কথা আছে।’ আমি কিছু না বুঝে গিয়েছিলাম, পরে বুঝতে পারি সবই ছিল একটা পরিকল্পিত ফাঁদ।”

তিনি আরও দাবি করেন, গুলশানের একটি বাড়িতে লায়লা ও হারুন একাধিকবার সাক্ষাৎ করতেন। সেসব স্থানে মদ্যপানের ঘটনাও ঘটত। মামুনের অভিযোগ অনুযায়ী, “ডিবি হারুণের যে মেয়েটি ভালো লাগতো, লায়লা সেটাই ম্যানেজ করে দিত। সবকিছুই ছিল প্রভাব ও ব্যক্তিস্বার্থে গড়া এক শক্তিশালী চক্রের অংশ।”

মামুন এসময় ভীত কণ্ঠে বলেন, “আমি এখন সত্যিই ভয় পাচ্ছি। বুঝতে পারছি না, কীভাবে এই ফাঁদ থেকে বের হবো। সবাইকে বলছি, দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।”

এই বিস্ফোরক অভিযোগ নতুন করে ভাইরাল হয়ে পড়েছে ফেসবুক ও টিকটকে। নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, মামুনের পুরানো বক্তব্য তার বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, যিনি নিজে অপরাধ জগতের অংশ, তিনি কিভাবে আবার ভিকটিম দাবি করেন? অনেকে আবার লায়লার সাম্প্রতিক অভিযোগ ও মামুনের পুরানো সাক্ষাৎকার মিলিয়ে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন।

এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—মামুনের কথিত ফাঁদ, লায়লার ভূমিকা এবং ডিবি হারুনকে ঘিরে ওঠা অভিযোগগুলো। যদিও এসব দাবির কোনোটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি, তবে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনার ঝড় তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন সব অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে এটি হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য বড় ধাক্কা।

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলছে—আসলে কে সত্য বলছে? মামুন, নাকি লায়লা? নাকি দু’জনই নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন গল্প সামনে আনছেন? একদিকে মামুনের প্রতি মানুষের সহানুভূতি তৈরি হচ্ছে, আবার অন্যদিকে তার অতীত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে অনেকে তাকে বিশ্বাস করতে নারাজ।

সব মিলিয়ে, মামুনের পুরানো এই সাক্ষাৎকার আবারও এক বিতর্কিত অধ্যায় উন্মোচন করেছে। সময়ই বলে দেবে, এই অভিযোগগুলোর সত্যতা কতটুকু, তবে এখনই এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

No comments found