close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ঢাকায় ট্রাফিক অভিযানে এক দিনে ২ হাজারের বেশি মামলা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার (১৮ আগস্ট) দিনব্যাপী পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২ হাজার ২৬৪টি মামলা দায়..

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীর যানজট কমানো এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোই ছিল অভিযানের মূল লক্ষ্য। ট্রাফিক বিভাগের একাধিক টিম রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অবস্থান নিয়ে আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
অভিযানে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ছিল—
    • বৈধ লাইসেন্স ছাড়া যানবাহন চালানো
    • বেআইনি পার্কিং
    • রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ব্যবহার
    • রুট পারমিট অমান্য
    • ফিটনেস সনদের ঘাটতি
    • অন্যান্য ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা
আইন ভঙ্গের ধরন অনুযায়ী কিছু যানবাহন তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করে ডাম্পিং বা রেকার করা হয়। ঢাকায় প্রতিদিনের যানজট, অব্যবস্থাপনা এবং বেআইনি পার্কিং বহুদিন ধরে নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণ। বেসরকারি ও গণপরিবহনের অনেক চালক নিয়মিতভাবে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলেও অনেক সময় শাস্তি এড়াতে সক্ষম হন।
অভিযানে অংশ নেওয়া এক ট্রাফিক কর্মকর্তা জানান, “যানজট নিরসনে কেবল আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়। তবে নিয়মিত অভিযানে চালক ও মালিকরা আইন মেনে চলতে কিছুটা হলেও বাধ্য হবেন।”

নগরবাসীর অনেকেই ডিএমপির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, ট্রাফিক আইন না মানা ও এলোমেলো পার্কিং রাজধানীর যানজটকে ভয়াবহ আকার দেয়। তাই নিয়মিত অভিযান চালানো হলে সড়কে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব।
মালিবাগের এক যাত্রী বলেন, “প্রতিদিনই দেখি যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্ক করা হয়, বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে। এগুলো বন্ধ হলে হয়তো অফিসে পৌঁছাতে দেরি হবে না।”

শহর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে শুধু অভিযান নয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি।
পরিবহন বিশ্লেষক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, “ডিএমপির অভিযান প্রশংসনীয়। তবে এ সমস্যার মূল সমাধান হবে যদি গণপরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করা যায়। একইসঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা এবং আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “শুধু শাস্তি দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। জনসচেতনতা না বাড়লে আইন প্রয়োগের কার্যকারিতা সীমিত থাকবে।”

ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীর সড়কগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং যানজট কমাতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জনস্বার্থে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। নগরবাসীর স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ডিএমপি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।”

No comments found