ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) এর বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে, পৃথক দুটি অভিযানে ১০১ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১১ এর হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন ।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো- মফিজুল ইসলাম ওরফে জামিল বাবু (২৮), সাইফুল ইসলাম সাকিব (২৫), মো. মানিক (৩১), সাদ্দাম (৩২), সহিদ (৩৭) এবং মনির হোসেন (৫৭)। তারা সকলেই সোনারগায়ের বাসিন্দা।
উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫টি চাপাতি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৫টি ছুরি, একটি সুইচ গিয়ার ও একটি বড় দা। এ সময় গাঁজা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
এর আগে, সোমবার ভোর ৫টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পাচকানিরকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মেঘনা-টু-বটতলা সড়ক থেকে ১০১ কেজি গাঁজাসহ একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা এলাকায় যানজটের সময় এবং নিজেরা গাছের গুড়ি ফেলে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুটে নিতো। তারা অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিদেশগামী যাত্রীদের বেশি টার্গেট করে ডাকাতি করে।
তিনি আরও বলেন, চক্রের অবশিষ্ট সদস্যদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মফিজুল ইসলাম ওরফে জামিল বাবুর নামে হত্যা সহ ৪টি, সাইফুল ইসলাম সাকিবের নামে হত্যা-নাশকতা-মাদকসহ ৪টি, মানিকের নামে হত্যাসহ ৩টি, সাদ্দামের নামে ডাকাতি-হত্যা-মাদক-অস্ত্র-চুরি সহ ১৮টি, সহিদের নামে হত্যা এবং মনিরের নামে চুরি-মাদক সহ ৫টি মামলা রয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং উদ্ধারকৃত মাদক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।