গত ১১ অক্টোবর (অনুষ্ঠিত) হওয়া এ ম্যাচে ক্রিকেটে ক্রম অগ্রসরমাণ নামিবিয়া চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ (খেলায়) শেষ বলে যখন ১ রান দরকার, তখন চার মেরে ক্রিকেট পরাশক্তি দক্ষিন আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়ে সম্ভবত তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জনটি লাভ করে! অবশ্য দঃ আফ্রিকার এই দলটি ছিল তাদের দ্বিতীয় সারির দল। তবুও তাদের দলে ছিলেন কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিকস্, জেরাল্ড কোয়েটজি, নান্দ্রে বার্গারদের মত ব্যাটসম্যান ও বোলাররা।
ম্যাচটিতে দঃ আফ্রিকা টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে। কিন্তু বেশ কিছুদিন পর (টি-২০) দলে ফেরা ডি কক ইনিংসের ১ম ওভারেই ব্যক্তিগত মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রোটিয়া দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে ৮ উইকেট হারিয়ে। যা নামিবিয়ার মত দলের বিপক্ষে তাদের জন্য মোটেই সম্মানজনক স্কোর না। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন ৩০ বল খেলে জ্যাসন স্মিথ। এছাড়া রুবিন হারম্যান করেন ১৮ বলে ২৩ রান। নামিবিয়ার পক্ষে রুবেন ট্রুম্পেলম্যান ৩টি উইকেট লাভ করেন ২৮ রানের বিনিময়ে এবং ম্যাক্স হেইঙ্গো ৩২ রান দিয়ে পান ২ উইকেট।
১৩৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়া দল তাদের উইকেটকিপার জেন গ্রীন-এর ২৩ বলে অপরাজিত ৩০ (শেষ বলে চার মারেন তিনিই) এবং অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাসের ২১ বলে ২১ রানের ওপর ভর করে (নির্ধারিত ২০ ওভারে) ১৩৮/৬ রান করে ৪ উইকেটের ঐতিহাসিক এক বিজয় অর্জন করে। দঃ আফ্রিকার নান্দ্রে বার্গার ও অ্যান্ডিলে সিমেলেন ২টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ২১ ও ২৮ রান দিয়ে। প্রোটিয়াদের এ ম্যাচ হারের অন্যতম একটি কারণ তারা এদিন (স্বল্প পূঁজি নিয়েও) এক্সট্রা ১৮ রান দেয়!
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন নামিবিয়ার ট্রুম্পেলম্যান। তিনি ৩ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ৮ বলে ১১* রান করেন। ৭ম উইকেটে (জেন গ্রীনের সাথে) তার ২১ বলে ৩৭ রানের (দলীয় সর্বোচ্চ) জুটিটিই মূলত নামিবিয়ার এ ম্যাচ জয়ের বড় কারণ।
[তথ্যঃ ক্রিকবাজ।]