রিপোর্ট মেহেদী হাসান: নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা বাজারের একাধিক হোটেল যেন এখন পচা খাবারের কারখানা! গরুর পায়া, নিহারি ও হালিম—নামের মোড়কে গ্রাহকদের পাতে উঠছে কয়েকদিন পুরনো, দুর্গন্ধযুক্ত, পোকামাকড়ে ভরা, ধুলাবালির আবরণে ঢাকা খাবার!
এসব খাদ্য সামগ্রীর গন্ধেই বোঝা যায়, মান নিয়ে কোনো দায়িত্ববোধ নেই হোটেলগুলোর। রান্নাঘরগুলো যেন নোংরামির প্রদর্শনী—তেলচিটচিটে হাঁড়ি-পাতিল, মাছির ঝাঁক, বাসি মাংসের স্তূপ আর ন্যূনতম পরিচ্ছন্নতার অভাব।
একজন ভ্রমণকারী তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন— “আমরা দুই বন্ধু এক হোটেলে দেড়শ টাকা করে নিহারি অর্ডার করি। সাথে নেই চারটি রুটি ও দুটি কোল্ড ড্রিংকস। খেতে খেতে দেখি, নিহারির ভেতর রান্না করা অবস্থায়ই পোকা রয়েছে! হোটেল মালিক বললেন—‘বাইরে থেকে পড়েছে।’ এরপর তিনি পোকাটি সরিয়ে ফেলেন। পরিবেশ ছিল এতটাই খারাপ যে, প্রথমে বসা টেবিলে মাছির উপদ্রব থাকায় অন্য টেবিলে গিয়েও রেহাই পাইনি!”
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন— “আমার ছেলে এখানকার হালিম খেয়ে রাতে বমি করেছে। পরে বুঝেছি, খাবার বাসি ছিল। এটা একদিনের নয়, কয়েকদিনের!"
এলাকাবাসীর অভিযোগ—ব্যবসার নামে চলছে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। কোনো মান নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি, অথবা সরকারি তদারকি নেই বললেই চলে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চলছে পচা খাবারের উৎসব।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তারা বলেন— “নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না হলে, শিগগিরই দেখা দিতে পারে বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি।”
শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যও যেন বিবেচনায় আনা হয়। ডাঙ্গা বাজারের হোটেলগুলোতে প্রশাসনিক মনিটরিং না বাড়ালে এই সংকট আরও ঘনীভূত হবে। তাই এখনই সময়—হস্তক্ষেপের।