close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার নেতাকে বিএনপির বহিষ্কার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP has expelled Mahfuzur Rahman, vice-president of Pakundia Municipality BNP in Kishoreganj, after he was beaten by a mob and accused in a robbery case in Sylhet.

সিলেটে ডাকাতির ঘটনায় গণপিটুনির শিকার হয়ে মামলার মুখোমুখি হন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সিলেটে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় গণপিটুনির শিকার হয়ে মামলার আসামি হওয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মাহফুজুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মীর কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সুপারিশক্রমে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এ বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেন।

দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের নির্দেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখতে।

পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি এসএম মিনহাজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি সিলেটে সংঘটিত একটি ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় মাহফুজুর রহমান স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন এবং গণপিটুনির শিকার হন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সিলেটের সংশ্লিষ্ট থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মিনহাজ উদ্দিন আরও বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিএনপির নজরে আসে এবং প্রমাণ-তথ্য যাচাইয়ের পরই দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। দলীয় ভাবমূর্তি ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহফুজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে পৌর বিএনপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং কয়েক বছর আগে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। সিলেটের সাম্প্রতিক ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

দলীয় নেতাদের মতে, বিএনপি কোনোভাবেই অপরাধে জড়িত কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়—এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে নেওয়া এই বহিষ্কারাদেশও তারই প্রমাণ।

এ ঘটনার পর স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, আবার কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীর অপরাধে জড়ানো একটি বড় ধরনের সতর্কবার্তা, যা সংগঠনের ভেতরে আত্মসমালোচনার সুযোগ তৈরি করবে।

প্রসঙ্গত, গণপিটুনির পর আহত অবস্থায় মাহফুজুর রহমানকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে মামলার আসামি হিসেবে আদালতে হাজির করা হয়। বর্তমানে তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি।

No comments found