close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ড. ইউনূসের লন্ডন সফর: স্টারমারের দ্বৈত বার্তা- সমর্থন ও শর্তের কূটনীতি..

Bokhtiar Shamim avatar   
Bokhtiar Shamim
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্ভাব্য বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ ও গণতান্ত্রিক দিকনির্দেশনা নিয়ে জটিল মনস্তাত্ত্বিক কৌশল। জার্নাল নিবন্ধ ..

 

লন্ডন, ১১ জুন ২০২৫:

বখতিয়ার শামীম

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্যের সফরে রয়েছেন, যেখানে তার সাথে যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের কথা চূড়ান্ত হয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিটে অনুষ্ঠিতব্য এ আলোচনায় উভয় দেশের রাজনৈতিক, মানবাধিকার ও নির্বাচন সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ পথরেখা নিয়ে গুরুত্বপূর্ন কথাবার্তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই সফরের পটভূমিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ- বিশেষ করে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের- যারা বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ওপর নজর রাখছে। স্টারমার সরকার স্পষ্ট করেছে, তারা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে প্রস্তুত, তবে এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শর্ত: স্বচ্ছ নির্বাচন, মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।

লন্ডনের কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য এখানে "Carrot and stick" কৌশলে এগোচ্ছে- সমর্থনের পাশাপাশি চাপ প্রয়োগ। এই সমীকরণে মানবিকতার মুখোশ ও বাস্তব রাজনীতির চাহিদা একত্রে কাজ করছে। স্টারমার প্রশাসন একদিকে ইউনূসের সংস্কার প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিচ্ছে, অন্যদিকে তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক মানদণ্ডের বাধ্যবাধকতা।

এদিকে, লন্ডনে ড. ইউনূসবিরোধী একটি অংশ সক্রিয় বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে- বিশেষত বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে যারা তার সরকারের অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত না করার শঙ্কা করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূসের লন্ডন সফর শুধু রাজনৈতিক নয়, একরকম মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধক্ষেত্রও বটে।

এই সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ড. ইউনূসের রাজপরিবারের সঙ্গে নির্ধারিত সাক্ষাৎ ও সম্ভাব্য "Harmony Award" গ্রহণ। যদিও এটি একটি আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ, তবে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার অবস্থানকে আরেক দফা দৃঢ় করতে পারে।

ড. ইউনূস ও স্টারমারের এই মুখোমুখি সাক্ষাৎ দক্ষিণ এশীয় রাজনীতির এক নতুন যুগের ইঙ্গিত দিতে পারে- যেখানে পরিবর্তন, কৌশল ও গণতান্ত্রিক শর্ত এক ছাদের নিচে আসে, আর পশ্চিমা শক্তিগুলো কেবল প্রত্যক্ষদর্শী নয়, অংশগ্রহণকারীও হয়ে ওঠে।

প্রতিবেদক:

বখতিয়ার শামীম

বিশেষ সংবাদদাতা (লন্ডন)

প্রকাশকাল: ১১ জুন ২০২৫ | পত্রিকা: আই নিউজ

 

 

Tidak ada komentar yang ditemukan