চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গত এক সপ্তাহে গরুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও, উচ্চমূল্য ও কম ক্রেতার কারণে বেচাকেনা আশানুরূপ হয়নি।
চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ২২২টি বৈধ পশুর হাটে গরু-মহিষের সরবরাহ প্রচুর। সাগরিকা, বিবিরহাট, মুসলিমাবাদ, টিএসপি মাঠসহ বিভিন্ন হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা গরু নিয়ে এসেছেন। তবে, অনেক হাটে ইজারা না হওয়ায় এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলের কারণে কিছু হাটে বেচাকেনা ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা গরুর বাজার, বিবিরহাট গরুর বাজার, পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার, খেজুরতলা মাঠ, সিডিএ বালুর মাঠ, চরপাড়া গরুর বাজার, মুনিরনগর আনন্দ বাজার ঘুরে দেখা যায়
এবার গরুর দাম গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এক থেকে দেড় মণ ওজনের গরুর দাম ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, দুই থেকে চার মণ ওজনের গরুর দাম দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা, এবং পাঁচ মণ বা তার বেশি ওজনের গরুর দাম আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হাঁকানো হচ্ছে। বড় গরুর দাম চার থেকে ছয় লাখ টাকার মধ্যে রয়েছে। বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পশুখাদ্য, পরিবহন ও হাটের অন্যান্য খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।
ছোট গরু: ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা
মাঝারি গরু: ১,৫০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ টাকা
বড় গরু: ৩,০০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ টাকা
উচ্চমূল্যের কারণে অনেক ক্রেতা হাটে এসে গরু দেখে ফিরে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা আশা করছেন, ঈদের আগের দিনগুলোতে বেচাকেনা বাড়বে। তবে, অনেক হাটে এখনও বেচাকেনা তেমন জমে ওঠেনি।
চট্টগ্রামের সাগরিকা, বিবিরহাট, মুসলিমাবাদ, টিএসপি মাঠসহ বিভিন্ন হাটে গরুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও, উচ্চমূল্য ও কম ক্রেতার কারণে বেচাকেনা আশানুরূপ হয়নি। বিক্রেতারা আশা করছেন, ঈদের আগের দিনগুলোতে বেচাকেনা বাড়বে।
চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গরুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও, উচ্চমূল্য ও কম ক্রেতার কারণে বেচাকেনা আশানুরূপ হয়নি। বিক্রেতারা আশা করছেন, ঈদের আগের দিনগুলোতে বেচাকেনা বাড়বে।
খুব ভালো প্রশ্ন তুলেছেন। হ্যাঁ, এবারের কোরবানির পশুর হাট, বিশেষ করে চট্টগ্রামের বড় হাটগুলোতে চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন হাট থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগও এসেছে।
সাগরিকা গরুর বাজার, বিবিরহাট, মুসলিমাবাদ, এসব বড় হাটে পশুপ্রতি ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা অবৈধ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
কিছু জায়গায় হাটে প্রবেশ ও নির্ধারিত স্থান বরাদ্দের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বেপারিদের অভিযোগ, হাটের ইজারাদার, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক মহলের লোকজন মিলে চাঁদা তুলছে। অনেকে জানিয়েছেন, হাটে উঠতে গেলেই নির্ধারিত ইজারা ফি’র বাইরে আলাদা টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমরা দূর-দূরান্ত থেকে গরু নিয়ে এসেছি। হাটে নামতেই গরুপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা। না দিলে গরু উঠতে দেয় না। আর বিক্রেতা হিসেবে হাটে দাঁড়ানোরও জায়গা দেয় না।”
সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো হাটে চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে মাঠপর্যায়ে সেই অবস্থান কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুলিশের সামনেই অনেক ক্ষেত্রে এসব চলছে।



















