close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

চন্দ্রনাথ মন্দিরের স্থানে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেই: ধর্ম উপদেষ্টা..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ মন্দিরে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।..

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ মন্দিরের স্থানে মসজিদ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। বুধবার রেল ভবনে মসজিদ ও মন্দিরের জন্য জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) তিনি এ কথা জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকার সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে রাজধানীর খিলক্ষেতে দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে এই জমি বরাদ্দের মাধ্যমে দেশে ধর্মীয় সহাবস্থান ও সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। এখানে সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন পালন করতে পারে। কেউ কারো জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।'

আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও জানান, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি প্রাচীন তীর্থস্থান। সেখানে মসজিদ নির্মাণ বা কালেমা খচিত পতাকা স্থাপনের কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকারের নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ছড়ানো বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

উপদেষ্টা বলেন, মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সেখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে এবং মন্দিরের সংস্কারের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, রেলভবনে জমি বরাদ্দের দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই জমি বরাদ্দের ঘটনা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও শান্তির বার্তা পৌঁছে দেবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সহাবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।

No comments found