এই স্কুলের মাধ্যমে কৃষকেরা কিভাবে উচ্চমুল্য ফসল চাষাবাদ করে বেশি লাভোবান হতে পারে তা হাতে কলমে স্কুলের মাধ্যমে কৃষি ব্যবসা সম্পর্কে শেখানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ স্কুল পরিচালনা করা হবে। এখন পর্যন্ত ৭ টি ইউনিয়নে এ স্কুল হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৮নং সাইতাড়া ইউনিয়নে চলছে এ স্কুলের কার্যক্রম। এই স্কুলটি পরিচালনা করছেন আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মিনহাজুল হক নবাব।
তিনি আরো বলেন, কৃষি নির্ভর দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বছরজুড়ে উৎপাদন হয় সবজিসহ নানা ফসল। কিন্তু ফড়িয়াদের কারণে পণ্যের সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন কৃষকরা। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কৃষক মাঠ বিজনেস স্কুল। প্রতিটি স্কুলে ৩০ জন কৃষক/কৃষানী প্রশিক্ষণ পাবেন। এছাড়া কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় স্থাপন করা হয়েছে কালেকশন পয়েন্ট। এখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে আসে।এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে যে মধ্যসত্ত্বভোগী রয়েছে তার দৌরাত্ম কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কালেকশন পয়েন্ট থেকে উৎপাদিত পন্য বাছাই করে দুরবর্তী বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এতে করে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন।
কৃষিকে ব্যবসামুখী করার মাধ্যমে চাষীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য বলছে কৃষি বিভাগ।