রং নষ্ট হয়ে যাওয়া তেলের ট্যাংকি মেরামতসহ নতুনের মত রং করে দিচ্ছেন মেকানিক্স রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সফলতা ও বিশ্বস্ততার সাথে এ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বগুড়া, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্যাংকি সারাতে মোটরসাইকেল চালকগণ আসেন।
মেকার রফিকুল ইসলাম জানান, কিছু ট্যাংকি কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগে। কিছু সাথে সাথে বা ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই সারিয়ে দেয়া হয়। খরচের ব্যাপারে বলেন একেক কাজ একেক দামে করা হয়। ট্যাংকি দেখে দাম নির্ধারণ করা হয়। তারপরও ট্যাংকির ফুটো বন্ধ ও রং করানো সহ ৩ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। গ্রাহককে ট্যাংকি মেরামতের সময় পর্যন্ত চলার জন্য অন্য ট্যাংকি দেয়া হয়। পুরো গাড়ি রং করাতে খরচ বেশি পড়ে। ১০/১২ বছর গ্যারান্টি দেয়া হয়।
ট্যাংকি মেরামত করতে আসা জিয়াউর রহমান বলেন, তিনি ও তার এক কর্মকর্তা পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ থেকে এসেছেন। মোটর সাইকেলের ট্যাংকি ফুটো হয়ে গেছে।
রংপুরের গংগাচড়া থেকে আসা আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, খোঁজ পেয়ে এখানে এসেছিলাম। সড়ক দূর্ঘটনায় ট্যাংকি দেবে ও ফুটো হয়ে গিয়েছিল। গত ১৭ দিন পুর্বে দিয়ে গিয়েছিলাম। আজকে ডেলিভারী নিলাম। নতুনের মত লাগতেছে।
রানীরবন্দরের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসে। এখানে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে দেয়া হয়।
স্থানীয় সাবেক নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূর এ আলম সিদ্দিকী নয়ন বলেন, সে ট্যাংকি মেরামতে অনেক দক্ষ। সে এ কাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে গিয়েছে। এক সময় অভাবে কাটত তার সংসার ও পরিবার। এখন সে জমি কিনে কারখানা দিয়েছে। তার কারখানায় ৭/৮ জন কর্মচারী কাজ করে। মাসে অন্তত তার আয় লক্ষাধিক টাকার উপরে। সে অল্প শিক্ষিত হলেও হাতের বিদ্যা শিখে দক্ষ মেকানিক্সে পরিণত হয়েছে।