চীনের তাড়া খেয়ে তড়িঘড়ি করে পালালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনাপূর্ণ স্কারবোরো শোলের কাছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার প্রবেশের পরে চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেছে যুদ্ধজাহাজটি।  বুধবার (১৩ আগস্ট) চীনের সামরিক বাহিনী এই তথ্য প..

স্কারবোরো শোল দক্ষিণ চীন সাগরের একটি ছোট প্রবালপ্রাচীর এলাকা হলেও, এর অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বার্ষিক প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাণিজ্য এই সমুদ্রপথ দিয়ে সম্পন্ন হয়। চীন প্রায় সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের অন্তর্ভুক্ত দাবি করে, যা ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইসহ একাধিক প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিরোধের জন্ম দিয়েছে।

২০১৬ সালে হেগভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনাল রায় দেয় যে, চীনের ‘ঐতিহাসিক মানচিত্র’-এর ভিত্তিতে করা দাবি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। কিন্তু বেইজিং সেই রায় প্রত্যাখ্যান করে এবং সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়ায়।

চীনা সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল তিয়ান জুনলি বলেন, মার্কিন ডেস্ট্রয়ারটি চীনের অনুমতি ছাড়াই স্কারবোরো শোলের কাছে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে চীনা নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী যৌথভাবে তাকে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করে।

মার্কিন নৌবাহিনীর সপ্তম নৌবহরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আন্তর্জাতিক জলসীমায় নেভিগেশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” তারা চীনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, কোনও প্রকার উসকানিমূলক কার্যক্রমে তারা জড়িত ছিল না।

দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু শুধু আঞ্চলিক বিরোধ নয়, বরং বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ক্ষেত্র। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এখানে ‘ফ্রিডম অফ নেভিগেশন’ অভিযান চালিয়ে আসছে, যাতে চীনের সমুদ্র দাবিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। অন্যদিকে, চীন মনে করে এসব অভিযান তাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্কারবোরো শোলে এই সর্বশেষ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। একইসঙ্গে, ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কও আরও খারাপ হতে পারে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا