close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ, জান্নাতুল নওরীন উর্মির পক্ষে হাইকোর্টের রায়..

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
আদালতের আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জান্নাতুল নওরীন উর্মির ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত..

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণিত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরীন উর্মির ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, রায় প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে নওরীনকে গণিত বিভাগে পুনরায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ কেন দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এই আদেশ দেন বিচারপতি ফাতিমা নাজিব এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ৭ জুলাই আদেশ দেওয়া হলেও বিষয়টি ১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

ঘটনার পটভূমি:

জান্নাতুল নওরীন উর্মি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হন। তিনি ছাত্রদলের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হুমকির শিকার হন।

পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা, পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগে তার বাবা ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে, ২০২০ সালের ১ মার্চ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে নওরীনের ওপর আবারো হামলার ঘটনা ঘটে, যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সে সময় আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকার কারণে তিনি চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

নওরীন বলেন, “আমি শুধুই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আমাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অনেকবার আবেদন করেও যখন কোনো সাড়া পাইনি, তখন বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই।”

আইনজীবীর বক্তব্য:

নওরীনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, “বিচারিক আদালতের এই আদেশ আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক। আমরা আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত তার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়ে শিক্ষাজীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দেবে।”

Không có bình luận nào được tìm thấy