বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। তবে এই উত্তেজনা ইতিবাচক বিতর্কের পরিবর্তে নেতিবাচক প্রচারণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে রূপ নিচ্ছে। টকশো, আড্ডা এবং অন্যান্য আলোচনায় প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অপরকে খারাপ প্রমাণ করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।
বিশ্লেষকরা এ প্রবণতাকে ছাত্র রাজনীতির পুরনো ধারা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা নতুন কিছু নয়। তাদের মতে, তরুণদের নেতৃত্ব গড়ার ক্ষেত্রে যদি ঘৃণা ও নেতিবাচক প্রচারণা প্রাধান্য পায়, তবে তা ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য শুভ সংকেত নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এই পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করছেন। তাদের মতে, এই সময়ে নতুন চিন্তাভাবনা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সৃজনশীল নেতৃত্বের পরিচয় দেওয়ার কথা থাকলেও, তা দেখা যাচ্ছে না। বরং প্রতিদ্বন্দ্বীদের খাটো করার প্রতিযোগিতা যেন এক ধরনের টক্সিক ফর্মুলা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বলেন, 'আমাদের নেতৃত্বের মধ্যে যদি ইতিবাচক পরিবর্তনের ছোঁয়া না থাকে, তবে তা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। আমরা চাই আমাদের নেতৃত্ব নতুন চিন্তায় পথ দেখাক, কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না।'
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই নেতিবাচক প্রচারণা পুরনো রাজনীতির ছায়া। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে শিক্ষার্থীদের নতুন ও সৃজনশীল নেতৃত্বকে উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন একটি মনোভাব তৈরি করা জরুরি, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ন্যায়সঙ্গত এবং সম্মানজনক।
ভবিষ্যতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এবং এর বাইরেও নেতৃত্বের ধারা পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। শিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ দেওয়া আবশ্যক।
ক্যাম্পাসে চলমান এই নেতিবাচক প্রচারণা কবে শেষ হবে এবং সত্যিকারের নতুন নেতৃত্ব কবে আসবে, তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা এখন মুখিয়ে আছেন। তাদের আশা, ভবিষ্যতের নেতৃত্ব হবে সৃজনশীল, ইতিবাচক এবং সমাজের জন্য কল্যাণকর।