চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়ী হয়ে শপথ নেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) এবং হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ পর্ব আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাকসু সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইয়াহ্ইয়া আখতার শপথবাক্য পাঠ করান। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি শপথ নেন। এছাড়াও ১৪টি হল এবং একটি হোস্টেল সংসদের মোট ২৩৬ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও, শপথ অনুষ্ঠানে অনেকেরই উপস্থিতি ছিল না।
চাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হন, যা ছাত্র রাজনীতিতে শিবিরের নিরঙ্কুশ আধিপত্যের প্রমাণ দেয়। বাকি দুটি পদের একটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এবং অন্যটিতে ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী জয়ী হন।
কেন্দ্রীয় সংসদের প্রধান দুটি পদে শপথ নেন ছাত্রশিবির প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা। ভিপি (সহ-সভাপতি) হিসেবে শপথ নেন ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে শপথ নেন সাঈদ বিন হাবিব। তবে সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে শপথ নেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
এছাড়াও, ১৮টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ১৭টিতেই জয়ী হয়ে শপথ নেন শিবির প্যানেলের প্রার্থীরা, যার মধ্যে খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ শাওন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হারেজুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দ্বীপা এবং আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক তাওহিদ রাব্বিসহ প্রমুখ ছিলেন। সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে নির্বাচিত তামান্না মাহবুব প্রীতি শপথ নেন।
নির্বাহী সদস্য পদে শপথ নেন জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা, সালমান ফারসি, সোহানুর রহমান ও আদনান শরীফ। তবে বুয়েট শিক্ষার্থীর ধর্ষণের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়া নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১০টি হল ও একটি হোস্টেল এবং ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল বরাদ্দ রয়েছে। হল সংসদগুলোতে মোট ২৩৬ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আরিফুল হক সিদ্দিকী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সুরক্ষিত ও সমুন্নত রাখার আশা প্রকাশ করেছেন।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			