বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘রিসার্চ ফেস্ট ২০২৫’। বুধবার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ (সিআইআর) এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্লাজায় এ ফেস্টের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআইআর-এর পরিচালক প্রফেসর ড. এ এইচ এম রহমতউল্লাহ ইমন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক এবং আয়োজক কমিটির সদস্যবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং নির্ধারণে গবেষণার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল পাঠদান দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে টিচিং ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হলেও, রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হতে হলে গবেষণামুখী পরিবেশ ও সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এধরণের আয়োজন এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে।”
ফেস্টে চারটি ক্যাটাগরিতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে রিসার্চ আইডিয়া শেয়ারিংয়ে অংশ নেয় ৩৪ টি টিম, পোস্টার প্রেজেন্টেশনে ৩৭ টি টিম, প্রজেক্ট শোকেসিংয়ে ১৮টি টিম, এবং রিসার্চ অলিম্পিয়াডে ১৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারী সবাইকে সনদ প্রদান করা হয় এবং প্রতিটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপদের প্রাইজমানি ও সনদ প্রদান করা হয়।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফয়জার রহমান। তিনি বলেন, “এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সত্যিই আশাব্যঞ্জক। সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে গবেষণার কোন বিকল্প নেই।”
স্বাগত বক্তব্যে সিআইআর-এর পরিচালক প্রফেসর এ এইচ এম রহমতউল্লাহ ইমন বলেন, “শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তুলতেই এ আয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি এই ফেস্ট শিক্ষার্থীদের গবেষণার মানসিকতা গড়ে তুলবে এবং আরও শক্তিশালী করবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আব্দুল আউয়াল এবং আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রাজিয়া সুলতানা। তিনি জানান, আগামীতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘রিসার্চ ফেস্ট’ আয়োজন করা হবে।
শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।
এই রিসার্চ ফেস্ট বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা গড়ে তুলতে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার মান উন্নয়ন এবং তাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।