close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়না হত্যাকাণ্ডের সন্দেহে ইমাম ও মুয়াজ্জীন গ্রেপ্তার..

Ali Afzal Khan avatar   
Ali Afzal Khan
তার জানাজায় মানুষের ঢল ও অশ্রুপাত নিক্ষেপ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর ময়না হত্যা সন্দেহে ইমাম-মুয়াজ্জিন আটক, আজ জানাজায় মানুষের ঢল---
 
আফজল খান শিমুল:
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের হাবলিপাড়ায় নিখোঁজের ১দিন পর ময়না আক্তার (৯) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ সরাইল থানা পুলিশ 
। গত রোববার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার এ গ্রামের একটি মসজিদের দ্বিতীয় তলা থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
 
নিহত ময়না আক্তার শাহবাজপুর গ্রামের ছন্দু মিয়া পাড়ার বাহরাইন প্রবাসী আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে স্থানীয় লতিফ মোস্তারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী ও স্থানীয় একটি মাদরাসার নূরানী বিভাগে পড়াশুনা করতো। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা ওই শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে।
 
এ ঘটনায় নিহত ময়নার মা মোসাঃ লিফা আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
 
পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহমূলক স্থানীয়  মসজিদের ইমাম হামিদুর রহমান (৩৫) ও মোয়াজ্জিন সাইদুল ইসলাম (২৫)  কে আটক করেছে।
 
নিহতের পরিবার দাবি , শনিবার দুপুরে সহপাঠীদের সাথে খেলাধূলা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ময়না। পরে আর বাড়ি ফিরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু তারপর ও কোন হদিস মিলেনি।
 
রোববার (৬ জুলাই) সকালে শিশুরা হাবলিপাড়া জামে মসজিদে গেলে দ্বিতীয় তলায় ময়নার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। পরে মসজিদের ঈমাম ময়নার মাকে খবর দেয়। পরে গ্রামবাসী মসজিদে গিয়ে ময়নার বিবস্ত্র ও গলায় কাপড় পেছানো অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ, পিবিআই ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে।
 
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ময়নাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
 
 
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম জানান , পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ময়না আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
এ ঘটনায় নিহত ময়নার মা  লিফা আক্তার বাদী হয়ে  রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মসজিদের ইমাম হামিদুর রহমান-(৩৫) ও মোয়াজ্জিন সাইদুল ইসলাম-(২৫)কে  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, আমরা নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
 
গতকাল সংঘটিত এ ফুঁটফুটে ও শান্ত স্বভাবের ময়নার মৃত্যু এলাকার কেউ মেনে নিতে পারছে না। দায়ি  ব্যক্তিদের উপযুক্ত ও কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সবাই।
 
আজ বিকালে স্থানীয় একটি খেলার মাঠে ময়নার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, এতে বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী অংশ গ্রহণ করে অশ্রুসজল নেত্রে তার শেষ বিদায় জানায় । এরপর তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
Geen reacties gevonden