ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সরকারি প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত বকনা বাছুর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বান্দুগ্রামের বাসিন্দা নীল কণ্ঠ মালোর ছেলে নির্মল মালোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন একাধিক মৎস্যজীবী পরিবার।
গত ১৪ মে (বুধবার) দেশীয় মৎস্য ও শামুক সংরক্ষণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় বোয়ালমারী মৎস্য অফিস থেকে ৭৫টি বকনা বাছুর বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল দুস্থ ও অসহায় মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই বিতরণ কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে নির্মল মালো প্রকৃত কার্ডধারীদের কাছ থেকে ১৫-১৬ হাজার টাকা করে গ্রহণ করে প্রতিশ্রুত বাছুর সরবরাহ করেননি।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী আনন্দ মালো জানান, “আমি সুদে করে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি নির্মলকে। সে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েও আমাকে বাছুর দেয়নি, বরং কার্ড না থাকা সত্ত্বেও সুজন নামের একজনের কাছে ১৬ হাজার টাকায় বাছুর বিক্রি করেছে।” একই ধরনের অভিযোগ করেন উপেন মালো, যিনি জানান, “নির্মল আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমার প্রাপ্য বাছুর গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া বাজারের চায়না নামের এক নারীর কাছে বিক্রি করেছে।”
এছাড়া মৎস্যজীবী অচিন্ত্য মালো, চৈতন্য মালো, নরোত্তম মালোসহ আরও অনেকেই একই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। তারা জানান, প্রকৃত কার্ডধারী হয়েও তারা বাছুর পাননি। অথচ বাইরের লোকজনের কাছে সরকারি বাছুর বিক্রির প্রমাণ রয়েছে।
সুজনের মা মলিনা রানী বলেন, “নির্মল আমার ও আমার মেয়ের কাছ থেকে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে ২টি বাছুর দিয়েছে। সে জানিয়েছে, অফিসারদের টাকাও দিতে হয়।”
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত নির্মল মালোর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার পর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “বাছুর বিতরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের নামে ৩শ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প রয়েছে। আমরা অতি শীঘ্রই প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করব। যদি প্রমাণ পাই কেউ বাছুর না পেয়েছেন বা অন্যের কাছে বিক্রি করা হয়েছে, তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			