close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বন্দরে মামলা তুলে নিতে নারীর গলা কেটে হত্যার চেষ্টা, আতঙ্কে এলাকাবাসী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
A woman in Narayanganj’s Bandar was brutally attacked for refusing to withdraw a case. Armed assailants attempted to slit her throat, leaving her critically injured and hospitalized.

SEO হেডলাইন (বাংলা)

বন্দরে মামলা তুলে নিতে নারীর গলা কেটে হত্যার চেষ্টা, আতঙ্কে এলাকাবাসী

শর্ট ডিসক্রিপশন (বাংলা)

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর জেরে মুন্নী আক্তারের ওপর ভয়াবহ হামলার অভিযোগ উঠেছে। গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Short Description (English)

A woman in Narayanganj’s Bandar was brutally attacked for refusing to withdraw a case. Armed assailants attempted to slit her throat, leaving her critically injured and hospitalized.


সম্পূর্ণ নিউজ

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে রীতিমতো রোমহর্ষক একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে এক নারীর গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আহত নারী মুন্নী আক্তার বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে গত ৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাসিকের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বেপারীপাড়া এলাকায়। মুন্নী আক্তার অভিযোগ করেন, আসামিরা জামিনে বের হয়ে তাকে নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা প্রাণঘাতী হামলা চালায়। হামলাকারীরা শুধু তার উপরই নয়, বরং পাশের মুদি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। বাধা দিতে গেলে মুন্নীর স্বামী সোহেল এবং ছোট বোন সোনিয়াও সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় মুন্নী আক্তারকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ জুলাই মুন্নী আক্তার বন্দর থানায় আনোয়ার, মৌসুমী, বাবু, রুমানা, মাহা ও রিয়াদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, স্থানীয় প্রবাসী শওকত মিয়ার স্ত্রী মৌসুমীর সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের পরকীয়ার জেরে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে এবং পুলিশি তদন্তে সাক্ষ্য দেওয়ায় মুন্নী ও আরও ১০/১২টি পরিবারকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।

মামলায় আসামিরা জামিনে এসে মুন্নীকে হুমকি দিতে থাকে। তারা স্পষ্ট জানায়, মামলা প্রত্যাহার না করলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট রাতে ভয়ঙ্কর এ হামলা চালানো হয়। হামলার সময় মুন্নীর দোকানে লুটপাট, ভাঙচুর করা হয় এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

এ বিষয়ে আহত মুন্নী আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মামলা তুলে না নেওয়ায় প্রতিশোধমূলকভাবেই হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ফারুক বলেন, “আমি ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদসহ স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তবে যদি আবার কোনো হামলার ঘটনা ঘটে, আসামিদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে এ ঘটনার পর বেপারীপাড়া এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, একাধিক পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রায় ১০ থেকে ১২টি পরিবার হামলার শিকার হওয়ার ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়দের মতে, পূর্বে জমা দেওয়া অভিযোগগুলোতে দেরি হওয়ায় আসামিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে আহত মুন্নী আক্তার এবং তার পরিবার গভীর নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত বিচার দাবি করেছে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা আর না ঘটে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا