মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ (দঃ) ইউনিয়নের গজভাগ গ্রামে দারুসসুন্নাহ গজভাগ মাদরাসার তিনতলা ভবনের প্রথম তলার কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এক শুভ উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত জনপদের প্রথম কওমি মাদরাসা দারুসসুন্নাহ গজভাগ মাদরাসায় বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় মাদরাসার হলরুমে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। দারুসসুন্নাহ গজভাগ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা জিয়া উদ্দিন ও শাহীদুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা মুফতি খায়রুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফিজ তায়েফ আহমদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা মুফতি মুজিবুর রহমান, শায়খুল হাদিস জামিয়া মাদনিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হযরত মাওলানা আব্দুল হাফিজ শমসের নগরী, মুঈনে মুহতামিম জামিয়া মাদনিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাদরাসার পরিচালক হযরত মাওলানা মাহতাব উদ্দিন, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম শাহীন, গজভাগ পঞ্চায়েতের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম টেক্কা, আল আমিন সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, গাজিটেকা দারুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমাম উদ্দিন, কাজী নজমুল ইসলাম, হাফিজ আফজাল হোসেন, মাওলানা আব্দুল আহাদ, মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা মুফিজ উদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা শেখ ফয়জুর রহমান সিদ্দিকীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আলেমগণ।
বক্তারা বলেন,এই মাদরাসা শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের এলাকার ঈমানি, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের কেন্দ্রবিন্দু। এর উন্নয়ন মানে সমাজের উন্নয়ন। নতুন ভবনটি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, সুন্দর ও আধুনিক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করবে।
সাবেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, একসময় টিনের চালার নিচে বৃষ্টির পানি পড়ে পড়ার কক্ষে ভিজে যেত বই ও বিছানা। শিক্ষক ও ছাত্রদের থাকতে এবং পড়তে প্রচণ্ড কষ্ট হতো। আল্লাহর অশেষ কৃপায় এখন সেই কষ্টের অবসান হলো। এই পাকা ভবন আমাদের সেই দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করেছে।
অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ অতিথি হযরত মাওলানা আব্দুল হাফিজ শমসের নগরী দোয়া পরিচালনা করেন। দোয়ায় দেশ, জাতি, মাদরাসার অগ্রগতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক, দানবীর, সমাজসেবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



















