close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও পত্রিকা পাঠে আগ্রহী বয়োজ্যেষ্ঠরা

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
পত্রিকার প্রতি বয়োজ্যেষ্ঠদের আগ্রহ এখনও অটুট, টেলিভিশন সংবাদে তাদের আস্থা সীমিত।..

বর্তমান ডিজিটাল যুগে মানুষ তথ্য প্রাপ্তির জন্য ইন্টারনেট ও টেলিভিশনের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। তবে, একটি প্রজন্ম এখনও আছে যারা মুদ্রিত পত্রিকার প্রতি তাদের আস্থা বজায় রেখেছে। বিশেষ করে ৪০ থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা এখনও পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ধরে রেখেছেন।

ঢাকার পূর্ব রামপুরা হাই স্কুল গলির মুখে ১লা মে সকাল ৭টায় তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি যেকোনো স্থানে পত্রিকা পেলেই সেটি পড়তে বসে যাচ্ছেন। এটি প্রমাণ করে যে, ডিজিটাল যুগের সকল উন্নতি সত্ত্বেও মুদ্রিত পত্রিকা তাদের কাছে অপরিহার্য।

অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি টেলিভিশন সংবাদকে পুরোপুরি বিশ্বাস করেন না। তাদের মতে, মুদ্রিত পত্রিকার খবর আরও নির্ভরযোগ্য ও বিশ্লেষণমূলক। তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে তারা বিশ্বাস করেন যে, পত্রিকার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য আরও বিস্তারিত এবং সঠিক।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, পত্রিকার প্রতি বয়োজ্যেষ্ঠদের এই আগ্রহ তাদের অভ্যাসগত এবং মানসিক নির্ভরতার কারণে। পত্রিকা পড়া শুধুমাত্র তথ্য প্রাপ্তির মাধ্যম নয়, বরং এটি তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। তারা মনে করেন যে, পত্রিকা তাদের সমাজের সাথে সংযুক্ত রাখে এবং তাদের চিন্তাভাবনার জগৎকে সমৃদ্ধ করে।

বয়োজ্যেষ্ঠদের এই অভ্যাসের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবও রয়েছে। এটি তাদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ধরণের বন্ধন তৈরি করে এবং প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দেয়।

যদিও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে, তবুও বয়োজ্যেষ্ঠদের এই অভ্যাস নতুন প্রজন্মকে পত্রিকা পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে পারে। পত্রিকার প্রতি এই অবিচল আস্থা প্রমাণ করে যে, তথ্যের বিশ্বে এখনও মুদ্রিত পত্রিকার একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।

ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, পত্রিকা এবং ডিজিটাল মাধ্যমের মধ্যে একটি সমন্বয় হতে পারে যেখানে উভয় মাধ্যম একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। তবে, বয়োজ্যেষ্ঠদের পত্রিকার প্রতি এই অনুরাগ দেখায় যে, মুদ্রিত মাধ্যমের চাহিদা এখনও শেষ হয়ে যায়নি।

कोई टिप्पणी नहीं मिली